নয়া দিল্লি: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি শুরু হওয়ার পর আজ প্রথম দুই দেশের DGMO স্তরের বৈঠক আছে। প্রাথমিকভাবে দুপুর ১২টা স্থির হলেও পরে তা বিকেল ৫টায় হবে বলে জানান হয়। এর পর একটি সাংবাদিক বৈঠকে বসেন ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী। এই বৈঠকেই জানিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের যা ক্ষতি হয়েছে, তা ওদের কারণেই হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে এয়ার মার্শাল এ.কে.ভারতী সাফ বলেন, '৭ মে আমরা শুধু জঙ্গিদের ঘাঁটিতেই হামলা চালিয়েছিলাম। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলাম আমরা। দুর্ভাগ্য পাক সেনারা এটা নিজেদের লড়াই করে নিয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে সেনা। আমাদের লড়াই পাক সেনার সঙ্গে নয়, জঙ্গিদের সঙ্গে। দুর্ভাগ্য, পাক সেনারা জঙ্গিদের হয়ে ব্যাট ধরেছে, বাধ্য হয়ে আমাদের জবাব দিতে হয়েছে। আমাদের জবাবে পাকিস্তানের যা ক্ষতি হয়েছে, তা ওদের কারণেই হয়েছে।'
এরপর ভারতের প্রত্যাঘাত নিয়েও বিবৃতি দেন এয়ার মার্শাল। তিনি বলেন, 'ভারতের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে দাঁত ফোটাতে পারেনি পাকিস্তান। পাক বিমানের হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ রুখেছে বায়ুসেনা। শুধু আধুনিক অস্ত্র নয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে এসেছে তথাকথিত পুরনো অস্ত্রও। চিনে তৈরি রকেট উড়ে এসেছিল পাকিস্তান থেকে, সবকটিকে নামিয়েছে বায়ুসেনা। স্বয়ংক্রিয় চিনা পাক ড্রোনকেও ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা। রহিমইয়ার এয়ারবেসে ভারতের প্রত্যাঘাতে তৈরি হয়েছে বিরাট গহ্বর'।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিদের মদতদাতা পাকিস্তান সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছিল পাক সরকারের জঙ্গি-যোগের ছবিতে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতের অপারেশন সিঁদুরের প্রত্যাঘাতে বাহাওয়ালপুরে জইশের হেড কোয়ার্টারে নিহত জঙ্গিদের স্যালুট করছে পাক সেনা। অ্যাম্বুল্যান্সে করে জইশ জঙ্গিদের দেহ যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পাকিস্তান আর্মি কর্পস অফ মিলিটারি পুলিশ তাদের স্যালুট ঠোকে। এমনকী শেষকৃত্যেও উপস্থিত সেনা ও পাক পুলিশ।