নয়া দিল্লি : ক্রমেই বাড়ছে ভারতের জনসংখ্যা ( India's population )।   এইবছরই লোকসংখ্যায় চিনকে টপকে গেল ভারত। তাও, সামান্য ফারাকে নয়। ভারতের জনসংখ্যা দাঁড়াল প্রতিবেশী চিনের থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ বেশি। এমনটাই মনে করছে জাতিসংঘ ( UN )। ভারতের জনসংখ্যা দাঁড়াল ১.৪২৮৬ বিলিয়ন হতে পারে। সেখানে চিনের জনসংখ্যা হল ১.৪২৫৭ বিলিয়ন। Population Fund's State of World Population report - এ এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। 


রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যার ২৫ শতাংশ ০-১৪ বছর বয়সী, ১৮ শতাংশ ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী, ২৬ শতাংশ ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সের বয়সী, ৬৮ শতাংশ ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী। ৬৫ বছরের উপরে ৭ শতাংশ। বিভিন্ন সংস্থার অনুমান, ভারতের জনসংখ্যা প্রায় তিন দশক ধরে বাড়তে থাকবে। এবং ১৬৫ কোটিতে পৌঁছানোর পরই তা কমতে শুরু করবে।


দেশের কাছে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই                


গতবছর গত ষাট বছরে প্রথম চিনের জনসংখ্যা কমে। এই বছর সেই তথ্য প্রকাশিত হয়। Population Fund's State of World Population report এ আরও বলা হয়েছে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা গিয়ে পৌঁছবে ৮.০৪৫ বিলিয়নে। ২০১১ সালের পর থেকে কোনও আদমসুমারী হয়নি। তাই বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা কত, তা নিয়ে দেশের কাছে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। 


সরকার ইচ্ছে করে দেরি করছে, বিরোধীদের দাবি


ভারতে ২০২১ সালে ফের জনগণনা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা পিছিয়ে যায়। করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য এই কাজ হয়নি। কিছুটা পরিকাঠামোগত কারণে, কিছুটা রাজনৈতিক কারণে সেই কাজ এখনও পড়ে। খুব তাড়াতাড়িই হয়ত এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। সমালোচকদের মতে সরকার ইচ্ছে করে দেরি করছে। বিরোধীদের দাবি, জনসংখ্যার নিরিখে বেকারত্বের তথ্য চাপতেই জনগণনার কাজ শুরু করছে না সরকার। গবেষণা বলছে ভারতের জনসংখ্যা ১৯৫০ এর পর থেকে ১ বিলিয়ন বেড়ে গিয়েছে। 


সম্প্রতি কর্ণাটকের  নির্বাচনী সভা থেকে জাতিভিত্তিক জনগণনার (Caste Census) দাবিতে সোচ্চার হন রাহুল গান্ধী । জাতিসুমারির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লেখেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ।  মোদিকে লেখা চিঠিতে হাত শিবিরের সভাপতি বলেন, দেশের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির উন্নতিকল্পে আর্থসামাজিক পরিস্থিতি জানার জন্য জাতিসুমারির প্রয়োজন আছে। ঠিক এই কারণেই ২০১১-১২ সালে জাতিভিত্তিক জনগণনা করেছিল কংগ্রেস। ইউপিএ নেতৃত্বাধীন সরকার, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেস সাংসদরা দাবি করেছিলেন এই জাতিসুমারি প্রকাশ্যে আনতে হবে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি বিজেপি।                                               


এই চিঠিতে তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে আপডেটেড জাতিসুমারি নেই, এর ফল মারাত্মক হতে পারে। সামাজিক ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন মানুষ। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য ক্ষমতায়নের কাজ ব্যাহত হবে। জাতির ভিত্তিক জনগণনা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।