নয়াদিল্লি: বিদেশ থেকে দেশে করোনাভাইরাস আমদানি করার যে ঝুঁকি, সে ক্ষেত্রে ১৭ নম্বরে রয়েছে ভারত। গবেষকরা অঙ্কভিত্তিক একটি মডেল ব্যবহার করে এই তথ্য আবিষ্কার করেছেন। দেশে যে কটি বিমানবন্দর রয়েছে, সেগুলির মধ্যে করোনা নিয়ে আসার ঝুঁকি সব থেকে বেশি দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ৩ নম্বরে রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর।

গোটা বিশ্বের করোনাভাইরাস ছড়ানো সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতে এই নতুন মডেলটি তৈরি করেছেন জার্মানির রবার্ট কোখ ইন্সটিটিউট ও হামবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তাতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এই রোগ মূলত ছড়াচ্ছে বিমান সফরের মাধ্যমে। করোনার কেন্দ্রস্থল হল চিনের সপ্তম বৃহত্তম শহর উহান। এক কোটি মানুষের বাসস্থান এই শহরটি ঘরোয়া বিমান চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ২৩ জানুয়ারি থেকে শহরটিকে কোয়ারান্টাইন বা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করার আগে পর্যন্ত এখানে বহু আন্তর্জাতিক উড়ানও ওঠানামা করত। ২৩ তারিখের পর থেকে বিমানবন্দর বন্ধ ঠিকই কিন্তু এতদিনে চিনের অন্যান্য শহরে তো বটেই, গোটা বিশ্বেই করোনা ছড়িয়ে পড়েছে।

যে বিমানপথ যত বেশি ব্যস্ত, সেখান দিয়ে করোনা ছড়ানোর তত বেশি সম্ভাবনা। এর ওপর ভিত্তি করে তাঁরা যে হিসেব কষেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, করোনা আমদানি করার ঝুঁকি সব থেকে বেশি থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হং কং, তাইওয়ান, আমেরিকা, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও কাম্বোডিয়ার। থাইল্যান্ডের ঝুঁকি রয়েছে ২.১ শতাংশ, ভারতের অনেক কম, ০.২ শতাংশ। তা সত্ব্বেও তালিকায় ১১ নম্বরে রয়েছে তারা।

চিনে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগীর কথা জানা যায় গত বছর ৮ ডিসেম্বর। ১ মাস কাটার আগেই ৩১ তারিখ তা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের নজরে আসে। ২০টির মত দেশ এখনও পর্যন্ত তাদের মাটিতে করোনা রোগীর অস্তিত্বের কথা স্বীকার করেছে, তবে সিংহভাগ রোগীই চিনের, ৯৯ শতাংশ আক্রান্তই চিনের নাগরিক।