পচেস্ট্রম: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ বিতর্ক উস্কে শেষ হল। ম্যাচের শেষে দুই দলের প্লেয়াররা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
সেনওয়েস পার্কে প্রিয়ম গর্গের নেতৃত্বাধীন ভারতকে ডাকওয়ার্থ লুইস সিস্টেমে হারিয়ে প্রথমবার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঠের মধ্যেই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। খেলোয়াড়দের কাউকে কাউকে ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি করতে দেখা যায়।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর ড্রেসিংরুম থেকে বাংলাদেশের প্লেয়াররা মাঠে ছুটে আসেন। এই জয়োল্লাসের মধ্যেই তাঁরা ভারতীয় প্লেয়ারদের উদ্দেশে কিন্তু অবাঞ্ছিত মন্তব্য করেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা নিয়েই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়।
আসলে ম্যাচ চলাকালেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই দিব্যাংশ সাক্সেনা একটি শট বোলার তানজিম হাসান শাকিবের দিকে খেলেন। বোলার ওই বল কুড়িয়ে ব্যাটসম্যানের দিকে ছুঁড়ে মারেন। অল্পের জন্য তা ব্যাটসম্যানের মাথা এড়িয়ে যায়।
এরপরও কয়েকবার একে অপরের দিকে তাকানো, কথা কাটাকাটির মতো ঘটনা ঘটে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে। মাঝেমধ্যেই আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। যশস্বী জয়সওয়ালকে আউট করার পরও বোলার শরিফুল ইসলাম যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানান, তাও উত্তেজনার পারদ চড়ায়।
ইএসপিএনক্রিকইনফো-র খবর অনুযায়ী, ঘটনার বিস্তারিত সামনে না এলেও ম্যাচ রেফারি গ্রেম ল্যাব্রোয়ের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আসার আগেই বিষয়টি আইসিসি অত্যন্ত গুরুত্ব গিয়ে দেখছে বলে খবর।


ম্যাচের পর ভারতের অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ বলেছেন, আমরা স্বাভাবিক ছিলাম। আমরা মনে করি জয়-পরাজয় খেলারই অঙ্গ। কিন্তু ওদের প্রতিক্রিয়া ছিল নোংরা। আমার মনে হয়, এমনটা হওয়া উচিত ছিল না। তবে ঠিক আছে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলি দলের আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। এমন ঘটনা উচিত ছিল না।
আকবর বলেছেন, ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানি না। আমি কিছু জিজ্ঞাসাও করিনি। কিন্তু ফাইনালে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। অনেক সময় খেলোয়াড়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তবে এমনটা ঠিক হয়নি। যে কোনওভাবেই হোক, প্রতিপক্ষকে মর্যাদা দিতে হবে, খেলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।