নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তান বলার চেষ্টা করে, কাশ্মীর ইস্যু রাষ্ট্রসঙ্ঘের অন্যতম প্রাচীন সমস্যা। কিন্তু পাকিস্তানকে রুখে দিয়ে ভারত জানিয়ে দেয়, কাশ্মীর নিয়ে মাথা ঘামানোর বদলে ইসলামাবাদের উচিত, সন্ত্রাসবাদ শেষ করার অসমাপ্ত কাজে নজর দেওয়া।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষ্যে একটি ভিডিও বার্তায় পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠানের নানা সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বলেন ‘ঘাটতি ও ব্যর্থতা’র কথা। তিনি বলেন, জম্মু কাশ্মীর ও প্যালেস্তাইন ইস্যু রাষ্ট্রসঙ্ঘের সব থেকে বেশি দিন জিইয়ে থাকা সব থেকে জাজ্বল্যমান বিতর্ক। অধিকৃত জম্মু কাশ্মীরের মানুষ এখনও রাষ্ট্রসঙ্ঘের দেওয়া তাঁদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করার অপেক্ষায় রয়েছেন। না থেমে কুরেশি বলেন, আজ রাষ্ট্রসঙ্ঘ শুধু বকবক করার জায়গা। এখানে নেওয়া প্রস্তাব বা সিদ্ধান্ত কোনওটাই পালন করা হয় না। বিশেষত নিরাপত্তা পরিষদে আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া বলে কোনও ব্যবস্থাই কার্যত নেই।

মুখের মত জবাব দেয় ভারতও। রাইট টু রিপ্লাইয়ের অধিকার পালন করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভারতীয় প্রতিনিধি বিদিশা মৈত্র বলেন, ভারত আশা করেছিল, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে অন্তত এইসব ভিত্তিহীন মিথ্যার পুনরাবৃত্তি হবে না। কিন্তু এ ধরনের মঞ্চের গৌরবের কোনও মাইলফলক উদযাপনের সময় তাকে এইভাবে ব্যবহারের চেষ্টা পাকিস্তানের ট্রেডমার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যে দেশের নিজস্ব কোনও মাইলফলক নেই, তাদের কাছ থেকে যুক্তি, কূটনীতি এবং আলোচনার বদলে এমন স্থূল, অর্থহীন ও মিথ্যে আচরণই আশা করা যায়।

বিদিশা আরও বলেন, বারবার কাশ্মীর ইস্যু তোলার চেষ্টা করে পাকিস্তান ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অন্তহীনভাবে মিথ্যে প্রচারের মাধ্যমে নাক গলানোর চেষ্টা করছে। জম্মু কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, পাকিস্তানের এই চেষ্টা নাকচ করছে দিল্লি। তাঁর কথায়, রাষ্ট্রসঙ্ঘে যদি কোনও অসমাপ্ত অ্যাজেন্ডা থাকে, তা হল সন্ত্রাসবাদ দমন। গোটা বিশ্ব জানে এবং মানে, পাকিস্তানই সন্ত্রাসবাদের ভরকেন্দ্র, যারা নিজেরাই স্বীকার করেছে, তারা জঙ্গিদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেয়, তাদের শহিদের মর্যাদা দেয় এবং দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতিনিয়ত ধ্বংস করে। পাকি্স্তান ভাল করবে, যদি তারা রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চের অপব্যবহারের চেষ্টার বদলে এই জ্বলন্ত সমস্যাগুলোর যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করে। বিদিশা বলেছেন।