কলকাতা: ভারতের জিডিপি নিয়ে ভাল খবর শোনাল নয়া পরিসংখ্যান। বর্তমান আর্থিক বর্ষের (২০২৩-২৪) এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে (quarter) ভারতের Gross Domestic Product বা স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সাড়ে সাত শতাংশের উপরে থাকতে পারে। যা এক বছরে সবচেয়ে দ্রুতগতির বৃদ্ধি। এর পিছনে অনুঘটকের কাজ করতে পারে পরিষেবা ক্ষেত্র (Service Sector) এবং মূলধনী খাতে ব্যয় বৃদ্ধি (capital expenditure)।


অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন যে দেশের আর্থিক প্রগতি চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে এখানেই সবচেয়ে বেশি হতে চলেছে। বর্তমান অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে GDP পূর্বাভাস ৭.৮ থেকে ৮.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্য়াঙ্ক ( Reserve Bank of India) তাদের মনিটারি পলিসিতে যা প্রোজেকশন দিয়েছে তার সঙ্গেই প্রায় মিলে যেতে পারে। 


RBI গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, ২০২৩-২৪-এর জন্য ভারতের GDP বৃদ্ধি হবে ৬.৫ শতাংশের মতো। প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার হবে ৮ শতাংশ। বিভিন্ন আর্থিক বিশেষজ্ঞ এবং বাণিজ্য জগতের বিশেষজ্ঞরা এমনটাই আশা করছেন। রয়টার্সের একটি সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে জানুয়ারি থেকে মার্চের যা GDP, তার তুলনায় এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে অনেকটাই বেশি থাকবে বৃদ্ধি। ৩১ অগাস্ট বিকেলে, এই অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের তথ্য প্রকাশিত হতে চলেছে। 


তার আগে কয়েকটি তথ্যের দিকে খেয়াল রাখা যায়। 


মুদ্রাস্ফীতি:
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে consumer price index (CPI) মুদ্রাস্ফীতি লাফিয়ে বেড়েছে। গত ১৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের জুলাইয়ে যা ছিল ৭.৪৪ শতাংশ। খাদ্যদ্রব্য এবং আনাজের মূল্যবৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ। 


RBI-যে সহনশীল মাত্রা বেঁধে দিয়েছিল (৬ শতাংশ), জুলাইয়ে তা পেরিয়ে চলে গিয়েছে। গত পাঁচ মাসে যা সর্বোচ্চ। consumer food price index (CFPI) -ও ১১.৫১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালের অক্টোবরের পরে যা সর্বোচ্চ। খুচরো মূল্যবৃদ্ধিও (retail inflation) অনেকটাই বেড়েছে। 


সুদের হার (Interest Rate):
আরবিআই-এর যা মনিটারি পলিসি মিটিং হয়েছে তাতে সুদের হারে (Repo Rate) কোনও বদল ঘটেনি। 


বেকারত্বের হার:
জুলাই মাসে ভারতের বেকারত্বের হার একটু কমেছে। গ্রামীন এলাকায় কৃষিক্ষেত্রে শ্রমের চাহিদা বৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ। Centre for Monitoring Indian Economy (CMIE) -এর তথ্য় অনুযায়ী ভারতে জুলাইয়ে বেকারত্বের বার কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৯৫ শতাংশ। যা জুনে ছিল ৮.৪৫ শতাংশে।