নিউ দিল্লি : দেশের অর্থনীতিতে কোভিডের থাবা। ২০২০-'২১ অর্থবর্ষে দেশের গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট(GDP) সঙ্কুচিত হয়েছে ৭.৩ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস। ১৯৭৯-৮০ সালের পর এই প্রথম এই হারে GDP সঙ্কোচন দেখা গেল। ওই অর্থবর্ষে GDP সঙ্কোচন দেখা গিয়েছিল ৫.২ শতাংশ।


যদিও ২০২০-'২১ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে যা কিনা ৩১ মার্চ, ২০২১-এ শেষ হয়েছে, তাতে GDP-র হার ১.৬ শতাংশ বেড়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর জানুয়ারি-মার্চ এর ত্রৈমাসিকে GDP-র বৃদ্ধি ছিল ৩ শতংশ। স্বাভাবিকভাবেই দেশের অর্থনীতিতে উদ্বেগ রয়েছে।


কোভিড ১৯-এর সংক্রমণের রুখতে গত বছর কড়া লকডাউনের পথে হাঁটে দেশ। যার প্রভাব পড়ে পর পর দুই ত্রৈমাসিকে। ওই অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক সঙ্কোচন ছিল ২৪.৪ শতাংশ। যদিও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের সময় থেকে ফের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হওয়ায়, GDP হ্রাসের হার ৭.৩ শতাংশে নেমে আসে। ডিসেম্বরে শেষ হওয়া তৃতীয় ত্রৈমাসিকে গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ০.৫ শতাংশ। ফলে, দেশের অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা আশা তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রের তরফেও সেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।


এদিকে NSO-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে উৎপাদন ক্ষেত্রে গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড(GVA) বৃদ্ধি ছিল ৬.৯ শতাংশ। এক বছর আগে যা ছিল ৪.২ শতাংশ সঙ্কোচন। কৃষিক্ষেত্রে GVA বৃদ্ধি ছিল ৩.১ শতাংশ। যদিও ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ওই সময়ে তা ছিল ৬.৮ শতাংশ। নির্মাণ ক্ষেত্রে GVA বৃদ্ধি ছিল ১৪.৫ শতাংশ। প্রাথমিকভাবে যা ছিল ০.৭ শতাংশ। মাইনিং সেক্টরে ৫.৭ শতাংশ সঙ্কোচন দেখা যায়। এক বছর আগে যা ছিল ০.৯ শতাংশ। 


এদিকে GDP-র পরিসংখ্যান প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রমনিয়ান বলেন, মূলত অতিমারির কারণেই বাৎসরিক GDP-তে এই সঙ্কোচন। যদিও অর্থনীতির উপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব অতটাও বড় হবে বলে মনে হচ্ছে না।