নয়াদিল্লি: সারাবিশ্বের চোখ এখন আগামী সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এগজিকিউটিভ বোর্ড মিটিং-এর দিকে। কারণ ওই বৈঠকে চেয়ারপার্সনের আসনে থাকবেন ভারতের প্রতিনিধি। বিশ্বের অনেক দেশই এখন জানতে চায়, অতিমারী করোনার পিছনে চিনের ভূমিকা কতটা?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন এগজিকিউটিভ বোর্ডের নতুন সদস্যদের বেছে নিতে দু’দিনের ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হচ্ছে ১৮ মে থেকে। প্রতি বছরই জেনেভায় বসে হু-র এই বৈঠক। সেখানেই হু-র নীতি নির্ধারিত হয়, বেছে নেওয়া হয় হু-র পরবর্তী ডিরেক্টর জেনারেল, গৃহীত হয় বিভিন্ন বিভিন্ন নীতিও।

এবার হু-এর নতুন এগজিকিউটিভ বোর্ডের চেয়ারে ভারতের প্রতিনিধিকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগেই। ২২মে প্রথম বৈঠকে বসবে ৩৪টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া নতুন এগজিকিউটিভ বোর্ড। যার নেতৃত্বে থাকবে ভারত।

এর আগে ওই আসনে ছিল জাপান। হু-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গোষ্ঠী সর্বসম্মতিক্রমে চায় ওই এগজিকিউটিভ বোর্ড মিটিংয়ে চেয়ারপার্সনের আসনে থাকুক এদেশের প্রতিনিধি।

অনিবার্যভাবেই বোর্ডের আগামী আলোচনায় উঠে আসতে পারে, অতিমারী নিয়ে চিন ও আমেরিকার মধ্যে চাপানউতোরের প্রসঙ্গ। এর আগে হু-এর একটি সদস্য দল চিনে গিয়ে করোনা কীভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করল, তা খতিয়ে দেখতে চায়। কিন্তু তাতে বেজিং জবাব দেয়, 'সঠিক সময়ে' সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। কিন্তু 'ভাইরাসের অজুহাতে রাজনীতি করবেন না' বার্তা দেয় চিন। এই পরিস্থিতিতে চিনের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হওয়াই স্বাভাবিক।

অন্যদিকে, অতিমারীর সতর্কতা জারি করা ক্ষেত্রে দেরি করার জন্য ইতিমধ্যেই হু-কে দায়ী করেছে আমেরিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে চিনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাৎসরিক মার্কিন অনুদান। যদিও এর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ভারতকে সরকারি ভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, ‘আগে করোনা আতঙ্ক কাটুক, তার পর এই সব নিয়ে ভাবা যাবে।’

এই আবহে আগামী সপ্তাহে হু-এর এগজিকিউটিভ বোর্ডের মিটিং এর দিকে সারা বিশ্বের চেখ তো থাকবেই, উপরন্তু মধ্যস্থতার বিষয়ে ভারতের উপর চাপও বাড়বে বলে, ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

সূত্রের খবর, বৈঠকে অতিমারী বিষয়ে চিনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চাইতে পারে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশ।