ফের একবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের মুখোশ খুলল ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সামনেই পাকিস্তানকে চাঁচাছোলা ভাষায় ধুয়ে দিলেন ভারতীয় কূটনীতিক পেটাল গহলৌত। রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তব্য পেশের সময়  পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ দাবি করেন অপারেশন সিঁদুরের নামে ভারত তাদের উপর কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আগ্রাসন চালিয়েছে। কিন্তু তারা চার দিনের সংঘাতে সাফল্য অর্জন করেছে । এর জবাব দিতে গিয়ে ক্ষুরধার আক্রমণ শানান ভারতের কূটনীতিক। বলেন, পাকিস্তানের রানওয়েগুলো যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ছবি যদি পাক প্রধানমন্ত্রীর মতে বিজয় হয়, তাহলে পাকিস্তান তা নিয়ে আনন্দ করুক ! 

Continues below advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জে শাহবাজ শরিফ তাঁর ভাষণে কাশ্মীর ইস্যু টেনে বলেন, "আমি কাশ্মীরিদের আশ্বস্ত করতে চাই যে আমি তাদের সঙ্গে আছি, পাকিস্তান তাদের সঙ্গে আছে, এবং একদিন শীঘ্রই, কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতার অবসান ঘটবে।" শরিফের এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে সরাসরি সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা বলে আক্রমণ করেন ভারতীয় কূটনীতিক। তিনি একেবারে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়ে বলেন, পাকিস্তান আগাগোড়া সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে আসছে।  ওদের কোনও লজ্জা নেই। বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানই ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয় এসেছে। সে কথা ভোলা চলবে না। 

এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি কার্যকলাপের প্রসঙ্গ টেনে পেটাল গহলৌত বলেন, এই সেই পাকিস্তান, যারা পহেলগাঁওয়ের ঘৃণ্য ঘটনার পরও রাষ্ট্রপুঞ্জে ‘রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ জঙ্গিগোষ্ঠীকে  আড়াল করতে চেয়েছিল।  পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে "অযৌক্তিক নাটক"-বলে কটাক্ষ করেন ভারতীয় কূটনীতিক। গহলৌত বলেন, সকালে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই অধিবেশনে অবাস্তব নাটক দেখিয়েছেন পাক-প্রধানমন্ত্রী। অপারেশন সিঁদুর বন্ধ করতে কার্যত কাকুতি-মিনতি করেছিল পাক সেনা। তিনি স্পষ্ট করে দেন, 'নিরীহ ভারতীয়দের উপর জঙ্গি হামলার জন্য দায়ী পাকিস্তান । আমরা দেশের মানুষকে বাঁচাতে হামলার প্রত্যাঘাত করেছি'           

Continues below advertisement

গহলৌত আরও বলেন, বলেন, "যে দেশ দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে, তারা এখন সবচেয়ে হাস্যকর বক্তব্য দিতেও দ্বিধা করে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশীদারিত্বের ভান করে তারা এক দশক ধরে ওসামা বিন লাদেনকে লুকিয়ে রেখেছিল। সম্প্রতি তাদের মন্ত্রীরা স্বীকার করেছেন যে তারা কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসী শিবির পরিচালনা করে আসছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে এই দ্বিচারিতাই এখন প্রধানমন্ত্রীর স্তরেও হচ্ছে।"

https://www.facebook.com/watch/?v=1512691139936716&rdid=QbYiwh1LZ5jbJI9c