নয়াদিল্লি: ইমরান খান সরকারের গিলগিট-বাল্টিস্তানকে অস্থায়ী প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করল ভারত। গিলগিট-বাল্টিস্তান ভারতের ভূখণ্ড, যা পাকিস্তান জোর করে কব্জা করে রেখেছে, স্পষ্ট বলল নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, পাকিস্তান সরকার বেআইনি ভাবে, জোর করে দখলে রাখা ভারতীয় ভূখণ্ডের একাংশের চরিত্রগত বদল ঘটানোর যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা দৃঢ় ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ভারত। আমি ফের বলছি, ১৯৪৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতে সংযুক্তির সুবাদে তথাকথিত গিলগিট-বাল্টিস্তান সমেত কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ওই সংযুক্তিকরণ হয়েছে বৈধ, আইনি পথে। তার আর প্রত্যাহার হতে পারে না। বেআইনিভাবে, বলপূর্বক দখলে রাখা ভূখণ্ডের ওপর পাকিস্তান সরকারের কোনও আইনি হকই নেই।
শ্রীবাস্তব আরও বলেন, পাকিস্তানের এধরনের প্রয়াসের উদ্দেশ্য বেআইনি দখলদারি আড়াল করা। কিন্তু এভাবে ওরা পাক দখলীকৃত এলাকায় সাতটি দশকের বেশি সময় ধরে চলা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন, শোষণ, স্বাধীনতা প্রত্যাখ্যানকে লুকিয়ে রাখতে পারবে না। পাকিস্তান এই ভারতীয় এলাকার চরিত্র বদলের চেষ্টা না করে বরং বেআইনি ভাবে কব্জা করে রাখা যাবতীয় ভূখণ্ড অবিলম্বে খালি করে দিক।
পাকিস্তান সরকারের গিলগিট-বাল্টিস্তানের মর্যাদা বদলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেখানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। তা সত্ত্বেও রবিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা করেন, সাময়িক প্রদেশের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে গিলগিট-বাল্টিস্তনকে। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব সম্প্রতি পাকিস্তানের মানচিত্র থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বাল্টিস্তান এলাকা মুছে দিয়েছে। তারপরই ইমরানের এই পদক্ষেপ, যার আগামীদিনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
গত ৮ অক্টোবর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদ শহরে গিলগিট-বাল্টিস্তানকে পৃথক প্রদেশের মর্যাদা দানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রচুর মানুষের সমাবেশ হয় জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট ও স্টুডেন্ট লিবারেশন ফ্রন্টের উদ্যোগে। নিজেদের জীবন বলিদান করবে, কিন্তু কিছুতেই পাকিস্তানকে ওই এলাকার চরিত্র বদল করতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজনৈতিক কর্মীরা।