ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল তার জাত বা শ্রেণির মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী সিস্টেম। সম্প্রতি ডিআরডিও তার পাল্লা বা টার্গেটে আঘাত হানার সীমা ২৯৮ কিমি থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ কিমি করেছে। সরকারি সূত্র সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপণ মিসাইল সিস্টেমের পারফরম্যান্স আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে।
গত দু মাসে শৌর্য্য মিসাইল সিস্টেম সমেত দেশের বর্তমান ও নতুন, উভয় মিসাইল সিস্টেমেরই সফল পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপণ করেছে ডিআরডিও। পাশাপাশি হাইপারসনিক মিসাইল প্রযুক্তির পরীক্ষাও সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছে তারা। প্রসঙ্গত, শৌর্য্য ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম ৮০০ কিমির বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম।
সম্প্রতি ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের সুখোই-৩০ বিমান পঞ্জাবের হালওয়ারা বিমানঘাঁটি থেকে উড়িয়ে নিয়ে যায়, বঙ্গোপসাগরে একটি পুরানো যুদ্ধজাহাজকে টার্গেট হিসাবে খাড়া করে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল উত্ক্ষেপণ করে। তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুরে বায়ুসেনার একটি স্কোয়াড্রনের শক্তি বাড়াতেই মিসাইলের বায়ুতে উত্ক্ষেপণ করা সংস্করণকে ব্যবহার করা হয়। চিনের সঙ্গে সংঘাতের সূত্রপাত, গালোয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্য়ুর পরই দেশের উত্তর সীমান্তের কাছে মোতায়েন করা হয় ব্রহ্মোস যুক্ত এয়ারক্র্য়াফটকে।
গত অক্টোবরে ভারতীয় নৌবাহিনী আইএনএস চেন্নাই যুদ্ধজাহাজ থেকেও ব্রহ্মোস মিসাইলের পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপণ ঘটায় গভীর সমুদ্রে ৪০০ কিমির বেশি দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানার ক্ষমতা যাচাই করে দেখতে।
পাশাপাশি ভারত সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল রপ্তানির বাজার, সম্ভাবনা খুঁজে দেখার প্রক্রিয়াও চালাচ্ছে। ডিআরডিও প্রজেক্ট পিজে ১০ এর আওতায় অনেকাংশেই এই মিসাইলকে দেশীয় চেহারা দিয়েছে।
নয়ের দশকের শেষে ভারত, রাশিয়ার যৌথ উদ্যেগের সূচনার পর সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার হাতেই ক্ষমতাশালী অস্ত্র হয়ে উঠেছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।