মুম্বই: আত্মজীবনী ‘এ প্রমিসড ল্যান্ড’-এ রাহুল গাঁধী সম্পর্কে বারাক ওবামার মন্তব্যে অসন্তুষ্ট শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বললেন, একজন বিদেশি রাজনীতিক ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে এধরনের কথা বলতে পারেন না। ভারত সম্পর্কে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কতটুকু জানেন, প্রশ্ন তুলেছেন সঞ্জয়।
নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত ওই বইয়ের রিভিউয়ে প্রকাশ, ওবামা তাতে লিখেছেন, রাহুল গাঁধী নিজেকে ‘তুলে ধরতে’ উত্সুক ছিলেন, কিন্তু ‘হয় সেই ক্ষমতা অথবা আবেগ’ তাঁর ছিল না। ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ সম্পর্কে ওবামার এমন মন্তব্যে ভারতে কংগ্রেস মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। রাহুলের হয়ে আসরে নেমে ওবামার মত খন্ডন করেছেন দলের নেতারা। যেমন তারিক আনোয়ার বলেছেন, সম্ভবত ৮-১০বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারত সফরে এসে সম্ভবতঃ অল্প সময়ের জন্য রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছিলেন ওবামা। অতটুকু সময়ে কারও সম্পর্কে সঠিক মূল্যায়ন করা কঠিন ব্যাপার। রাহুল গাঁধীর ব্যক্তিত্বও তারপর বদলেছে, তিনি অনেক অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছেন। কিন্তু সঞ্জয় রাউত আরও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, ভারতীয় রাজনীতিকদের ব্যাপারে এমন মতামত দিতে পারেন না একজন বিদেশি নেতা। কংগ্রেস নেতা সম্পর্কে ওবামার মন্তব্যে দেশের ঘরোয়া রাজনীতিতে যে রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা হচ্ছে, সেটা কুরুচিকর। আমরা নিশ্চয়ই বলব না, ট্রাম্প উন্মাদ। এই দেশ সম্পর্কে কতটা জানেন ওবামা?

মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি মহা বিকাশ আঘাদি জোট গড়ে যে সরকার চালাচ্ছে,সম্প্রতি তার প্রথম বর্ষপূর্তি হয়েছে। সঞ্জয়ের দাবি, গত বছর এই সময়েই মহারাষ্ট্রে আমরা সরকার গড়ার দোরগোড়ায় ছিলাম। কেউ তখন কল্পনাই করতে পারেনি যে, শিবসেনার কোনও নেতা মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু গত এক বছরে আমরা পরিবেশ বিপর্যয়, কোভিড-১৯ এর মতো বিপর্যয়ের চ্য়ালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু উদ্ধব ঠাকরের সরকার ধৈর্য্য ধরে সামলে দিয়েছে। আগামী চার বছরে মহারাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে তারা। মহারাষ্ট্রের ১১ কোটি মানুষের আস্থা অর্জন করাই আমাদের লক্ষ্য। বিরোধীদের বলব, মানুষের স্বার্থে কাজ করুন, শক্তিশালী রাজ্য গঠনে আমাদের সাহায্য করুন।