নয়াদিল্লি: গত বছরের তুলনায় এই আর্থিক বছরে অনেকটাই বাড়তে চলেছে বৃদ্ধির হার। গত আর্থিক বছরে উন্নয়নের হার ছিল ৬.৭ শতাংশ, এবার তা বেড়ে হচ্ছে ৭.২ শতাংশ। সেন্ট্রাল স্ট্যাটিসটিকস অফিস বা সিএসও এ খবর দিয়েছে।

সিএসও জানিয়েছে, কৃষি ও নির্মাণ ক্ষেত্রে উন্নতির কারণে এই আর্থিক বৃদ্ধি। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক হিসেব দিয়েছিল, এই আর্থিক বছরে বৃদ্ধি হবে ৭.৪ শতাংশ, তার থেকে সিএসও-র পরিসংখ্যান সামান্য কম। ২০১৬-১৭ সালে জিডিপি বাড়ে ৭.১ শতাংশ ও ২০১৫-১৬ সালে ৮.২ শতাংশ। সিএসও-র তথ্য বলছে, কৃষি, বনসম্পদ ও মৎস্যচাষে চোখে পড়ার মত উন্নতি হয়েছে, গত বছরের ৩.৪ শতাংশের তুলনায় এই আর্থিক বছরে এই ক্ষেত্রগুলির বৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৩.৮ শতাংশ। নির্মাণ ক্ষেত্রে ২০১৭-১৮-য় বৃদ্ধি ছিল ৫.৭ শতাংশ, এবার তা ৮.৩ শতাংশ ছোঁয়ার আশা।

তবে খনন শিল্পে বৃদ্ধি কমছে চোখে পড়ার মত। গত অর্থবর্ষের ২.৯ শতাংশের তুলনায় এবার তা কমে দাঁড়াচ্ছে মাত্র ০.৮ শতাংশে। বাণিজ্য, হোটেল শিল্প, পরিবহণ ক্ষেত্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও সম্প্রচার পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষেত্রেও পতন দেখা যাবে। গত অর্থবর্ষের ৮ শতাংশের তুলনায় এ ক্ষেত্রে এবার বৃদ্ধি কমে হতে পারে ৬.৯ শতাংশ। প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি গত আর্থিক বছরের ১০ শতাংশের তুলনায় কমে ৮.৯ শতাংশ হতে পারে।

উল্টোদিকে বৃদ্ধি হচ্ছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সরবরাহ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ক্ষেত্রে। গত বছর এই সব ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ছিল ৭.২ শতাংশ, এবার তা বেড়ে হতে পারে ৯.৪ শতাংশ। নির্মাণ ক্ষেত্রে বৃদ্ধি চোখে পড়ার মত, গত বছরের ৫.৭ শতাংশের তুলনায় তা এবার হবে ৮.৯ শতাংশ। সামান্য বৃদ্ধি হতে পারে, অর্থ, রিয়্যাল এস্টেট ও পেশাদার পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে।

সিএসও আরও জানাচ্ছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় গত আর্থিক বছরের তুলনায় ১১.১ শতাংশ বেড়ে হবে ১,২৫,৩৯৭ টাকা। দেশে বিনিয়োগের অন্যতম সূচক গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফর্মেশন বা জিএফসিএফও বাড়ছে। গত অর্থবর্ষের ৪৭.৭৯ লাখ কোটির তুলনায় এই অর্থবর্ষে তা হবে ৫৫.৫৮ লাখ কোটি টাকা।