নয়াদিল্লি: ভারতের অর্থনীতিতে (Indian Economy) ফের আশঙ্কা বাড়াল বেকারত্বের থাবা। চলতি বছরে গত মার্চের বেকারত্বের হার ছাপিয়ে এপ্রিলে আরও বাড়ল বেকারত্ব।
গত মার্চে বেকারত্ব ছিল ৭.৮ শতাংশ। যা এপ্রিলে এসে দাঁড়িয়েছে ৮.১১ শতাংশ। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির সমীক্ষা রিপোর্টে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
যদিও ওই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে, ভারতে Labour Participation Rate বা শিল্পে শ্রমিকদের যোগদান বেড়েছে।
কত বেকারত্ব:
নয়া এই রিপোর্ট অনুযায়ী বেশ খানিকটা বেড়েছে শহরের বেকারত্বের হার। মার্চে ছিল ৮.৫১ শতাংশ। এপ্রিলে যা বেড়ে হয়েছে ৯.৮১ শতাংশ। যদিও গ্রামীন বেকারত্বের হার সামান্য হলেও কমেছে। মার্চে ছিল ৭.৪৭ শতাংশ, যা এপ্রিলে নেমে গিয়েছে ৭.৩৪ শতাংশ।
CMIE -এর প্রধান মহেশ ব্যাস একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, শিল্পে শ্রমিকদের যোগদান বৃদ্ধি পেলেও বেকারত্বের হার বেড়েছে। এপ্রিলে ভারতে শ্রমিকদের সংখ্যা বেড়েছে। আরও কিছু কারণে এপ্রিলে শ্রমে যোগদানের হার বেড়েছে। যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বৃদ্ধি পাওয়া শ্রমিক সংখ্যার মধ্যে একটি বড় অংশ কাজ খুঁজতে সক্ষম হয়েছে। কারণ এপ্রিলে ২২.১ মিলিয়ন কাজ তৈরি হয়েছে। কাজের হারও বেড়েছে। এপ্রিলে কাজ পাওয়ার হার বেড়ে হয়েছে ৩৮.৫ শতাংশ। যা ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে সর্বোচ্চ। ব্যাস বলেছেন, 'শ্রমে যোগদান এবং কাজের হার বৃদ্ধির কারণের পিছনে কাজ চাওয়ার সংখ্যার বেড়েছে।'
শহর এলাকার তুলনায় গ্রামীন এলাকায় বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে, এমনটাই দেখাচ্ছে CMIE-এর তথ্য। গ্রামে যত শ্রমিক বেড়েছে তাঁদের মধ্যে ৯৪.৬ শতাংশ কাজ খুঁজে পেয়েছেন। অন্যদিকে শহরে যতজন শ্রমিক বেড়েছে, তাঁদের মধ্যে মাত্রা ৫৪.৮ শতাংশ কাজ খুঁজে পেয়েছেন।
এপ্রিলে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, মহাত্মা গাঁধী গ্রামীন রোজগার প্রকল্প আইনের অধীনে কাজের চাহিদা জানুয়ারি থেকে তুলনায় কমেছে। তারজন্য রবি শস্যের ফলন ভাল হওয়া এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ বৃদ্ধির কারণে এমনটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়টির সঙ্গে মিলে গিয়েছে CMIE-এর তথ্যও।
মুম্বইয়ে সদর দফতর CMIE-এর। এই সংস্থা যা তথ্য় প্রকাশ করে তা সবসময়েই নজরে থাকে অর্থনীতিবিদ, আর্থিক বিশেষজ্ঞ এবং দেশের নীতি-নির্ধারকদের (Policymakers)। কারণ সরকারের তরফে মাসে-মাসে এই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয় না। সেন্টার ফল মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা CMIE (Centre for Monitoring Indian Economy) এটি ব্যবসা-আর্থিক বিশ্লেষণকারী সংস্থা (Business information company)। ১৯৭৬ সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাইমারি ডেটা কালেকশন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যাবতীয় তথ্য় সংগ্রহ করা এবং তা সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ অর্থনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন সূচকের ওঠানামা মাপার কাজ করা হয় এই সংস্থার তরফে।
আরও পড়ুন: গরমে ভোগাচ্ছে আর্থারাইটিস? সঠিক পানীয়ে মিলবে সুরাহা