এখানেই শেষ নয়, সাদিক আরও যে সব বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন, তাতে জানা যাচ্ছে, ভারতের সম্ভাব্য হামলা সংক্রান্ত ওই বৈঠকে আসতে অস্বীকার করেন ইমরান। তবে ছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ও সেনা প্রধান বাজওয়া। বাজওয়ার পা ভয়ে কাঁপছিল, বিদেশমন্ত্রী ঘেমে নেয়ে গিয়েছিলেন। কুরেশি বলেন, ঈশ্বরের দোহাই, অভিনন্দনকে যেতে দিন, না হলে রাত নটায় ভারত পাকিস্তানের ওপর হামলা চালাবে।
তাঁর দাবি, আসলে ভারতের হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল না। পাকিস্তানের শুধু হাঁটু গেড়ে বসে অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়ার ছিল, তা তারা করেছিল। ভিডিওটি টুইট করেছেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র।
গত বছর ২৭ফেব্রুয়ারি উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের এফ-১৬ ফাইটার জেটকে গুলি করে নামান। কিন্তু তাঁর নিজের মিগ-২১ও ক্র্যাশ করে, তিনি প্যারাস্যুটে করে নামেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। সে সময় তাঁকে কবজা করে পাক সেনা। ধরা পড়ার সময় অভিনন্দন তাঁর সঙ্গে থাকা কাগজপত্র পাশের নালায় ফেলে দেন, কিছুটা চিবিয়ে গিলে ফেলেন। তিনি পাকিস্তানের কবজায় রয়েছেন জানতে পেরে ভারত সরকার ইসলামাবাদকে নির্দেশ দেয়, তাঁকে বিনা শর্তে ফেরাতে হবে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান তাতে রাজি হয়, ২৮ তারিখই পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, অভিনন্দনকে ফেরত পাঠাচ্ছেন তাঁরা।