পুনে: ওমিক্রন থেকে সুস্থ হয়ে উঠল মুম্বইয়ের সেই একরত্তি। মাত্র দেড় বছরের ওই মেয়ের শরীরে থাবা বসিয়েছিল করোনার ওমিক্রন রূপ (COVID Variant Omicron)। কিন্তু সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেল সে। 


মহারাষ্ট্রের পুণের পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ের বাসিন্দা ওই একরত্তির শরীরে সম্প্রতি ওমিক্রন ধরা পড়ে। তার পর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। সুস্থ হয়ে ওঠায় শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল মেয়েটি। 


অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রেই তিন বছর বয়সী যে ছেলে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিল, তার মধ্যে করোনার কোনও উপসর্গই (Omicron Symptoms) নেই। বরং সে একেবারে স্বাভাবিকই রয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। 


মহারাষ্ট্রে (Omicron in Maharashtra) সম্প্রতি নতুন করে যে চারজনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়ে, তিন বছরের ছেলেটি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। বাকি তিন জন প্রাপ্তবয়স্ক, দুই পুরুষ এবং এক মহিলা। নাইজিরিয়া থেকে ফেরা এক ভারতীয় মহিলা এবং তাঁর দুই কন্যার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁরা। 


নাইজিরিয়া ফেরত ওই মহিলা এবং তাঁর দুই মেয়ের শরীরেও ওমিক্রন মিলেছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, নাইজিরিয়া থেকে ফিরে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড়ে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ওই মহিলা। তাঁর ভাই, ভাইয়ের দুই মেয়ে, যাঁর মধ্যে দেড় বছরের ওই শিশুটি অন্যতম, তাঁদের শরীরেও ওমিক্রন মেলে।


পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে যে ছ’জনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছিল, দেড় বছরের ওই শিশু-সহ তাঁদের মধ্যে চার জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। তাঁদের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এক জন মহিলার শুষ্ক কাশির সমস্যা রয়েছে এখনও। তবে রিপোর্ট নেগেটিভ। 
পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক লক্ষ্মণ গোফানে জানিয়েছেন, তিন বছরের শিশুটির কোনও উপসর্গ নেই। তাকে শিশুবিভাগে রাখা হয়েছে। অন্য তিন রোগীর মধ্যেও উপসর্গ নেই কোনওরকম। আপাতত চিন্তার কোনও কারণ নেই। অন্য দিকে, ফিনল্যান্ডফেরত যে ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন পাওয়া গিয়েছিল, তাঁরও রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।