বলরামপুর: শেষকৃত্য সারা হয়েছে এক দিন আগেই। মিটে গিয়েছে অস্থি বিসর্জন পর্বও। কিন্তু দেশের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (CDS General Bipin Rawat) আকস্মিক মৃত্যুর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) দাঁড়িয়ে ফের তাঁকে নিয়ে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। জেনারেল রাওয়াতের চলে যাওয়া দেশপ্রেমী মানুষের কাছে বড় ক্ষতি বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
বছর ঘুরতেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শনিবার বলরামপুরে সরযূ খাল জাতীয় প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যান মোদি। সেখানেই জেনারেল রাওয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। বলেন, ‘‘জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সাহসিকতা, সেনাকে আত্মনির্ভর করে তোলার জন্য তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম, গোটা দেশ এ সবের সাক্ষী। তাঁর প্রয়াণে গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। কিন্তু তার জন্য প্রগতি থামবে না। আরও পরিশ্রম করতে হবে। দৃঢ় ভাবে দেশের অন্দরে এবং বাইরে থেকে আসা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।’’
জেনারেল রাওয়াতকে স্মরণ করতে গিয়ে এ দিন গীতার শ্লোকও উদ্ধৃত করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘শুধু সেনাবাহিনীতে থাকাকালীনই নয়, এক জন সৈনিক জীবনভর সৈনিকই থাকেন। নিয়মানুবর্তিতা, দেশের মর্যাদা-গৌরবের জন্য সমর্পিত থাকেন প্রতি মুহূর্ত। গীতায় বলা আছে, শস্ত্র ছেঁড়ে না,অগ্নি দহে না...যেখানেই থাকুন, আগামী দিনে নতুন সঙ্কল্পের সঙ্গে দেশকে এগিয়ে যেতে দেখতে পাবেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত।’’
গত বুধবার তামিলনাড়ুতে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে (Tamil Nadu Helicopter Crash) মৃত্যু হয় জেনারেল রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত (Madhulika Rawat) এবং ১১ জন সেনাকর্মীর। বেঁচে ফিরেছেন শুধু এক জন, গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের সেই ভূমিপুত্র বরুণ সিংয়ের আরোগ্য কামনা করেন মোদি। একই সঙ্গে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত সেনাকর্মীর পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে শেষকৃত্য সারা হয়েছে জেনারেল রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রীর। এক সঙ্গে, একই চিতায় দাহ করা হয়েছে প্রয়াত দম্পতিকে। দুই মেয়েই তাঁদের শেষকৃত্য সারেন। শনিবার সকালে হরিদ্বারে অস্থিও বিসর্জন করে আসেন তাঁরা। কিন্তু নিলগিরির কোলে ভেঙে পড়া কপ্টার দুর্ঘটনা ঘিরে শোকের আবহ এখনও বিদ্যমান।