নয়াদিল্লি: অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁরাই আম আদমির সবচেয়ে বড় ভরসা। অথচ করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত চিকিৎসকেরাও। কীরকম সেই বিপর্যয়ের ছবি?


শুনলে শিউরে উঠতে পারেন। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৪৪ জন চিকিৎসক। যার মধ্যে শুধু রবিবার করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ জন! হ্যাঁ, ভুল লেখা হয়নি, ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন চিকিৎসক অতিমারির বলি হয়েছেন।


আতঙ্কিত হওয়ার মতো এই তথ্য দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। সবচেয়ে বেশি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বিহারে। সেখানে ৬৯ জন চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছেন মারণ ভাইরাসে। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশ। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে ৩৪ জন চিকিৎসক করোনার বলি হয়েছেন। রাজধানী নয়াদিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন চিকিৎসক।


আইএমএ জানিয়েছে, মৃত চিকিৎসকদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট আনাস মুজাহিদ। মাত্র ২৫ বছর বয়সে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে হার মেনেছেন তিনি। নয়াদিল্লির গুরু তেজ বাহাদুর হাসপাতালের জুনিয়র আবাসিক চিকিৎসক ছিলেন তিনি। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টাও সেভাবে করা সম্ভব হয়নি কারণ, করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রয়াত হন আনাস। প্রবীণতম হিসাবে করোনার বলি বিশাখাপত্তনমের এস সত্যমূর্তি। ইএনটি বিভাগের অধ্যাপক ৯০ বছর বয়সে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।


আইএমএ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত বছর করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে ভারতে ৭৩০ জন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। আইএমএ-র প্রেসিডেন্ট জে এ জয়লাল বলেছেন, 'গত বছর করোনায় প্রায় ৭৩০ জন চিকিৎসককে হারিয়েছিলাম আমরা। এবার খুব অল্প সময়ের মধ্যে ২৪৪ জনকে হারিয়েছি। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সকলের কাছেই প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে, বিশেষ করে যাঁরা সামনের সারিতে থেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন তাঁদের জন্য। আমাদের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে আরও ভালভাবে রোগকে নির্মূল করার জন্য় তাঁরা নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন।'