নাগপুর : এনকাউন্টারে খতম অন্ততপক্ষে ২৬ জন মাওবাদী। মুম্বই থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের গাচ্চিরৌলি জেলার ঘটনা। আজ পুলিশ ও মাওবাদীদের মধ্যে এনকাউন্টার চলে বলে জানান সিনিয়র আধিকারিকরা। পুলিশ সুপার অঙ্কিত গয়াল বলেছেন, আমরা এখনও পর্যন্ত জঙ্গল থেকে ২৬ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করেছি। 


তিনি জানান, আজ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌম্য মুণ্ডের নেতৃত্বে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সি-৬০ পুলিশ কমান্ডো টিম। সেই সময়ই মার্দিনতোলা জঙ্গলের কোর্চি এলাকায় উভয়পক্ষের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়।


তবে, খতম হওয়া মাওবাদীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, মৃতদের মধ্য়ে রয়েছে শীর্ষস্থানীয় এক বিদ্রোহী নেতা। এদিকে এনকাউন্টারে চার পুলিশকর্মীও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে নাগপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই জেলাটি ছত্তীসগড় সীমানা লাগোয়া এলাকায় রয়েছে।


মাওবাদী উপদ্রব আটকাতে আটকে দিতে হবে তাদের অর্থ সরবরাহ। সম্প্রতি ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি আরও বলেছিলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপ রুখে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে। দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠক হয়।


আরও পড়ুন ; 'মাওবাদী কার্যকলাপ রুখতে আগে ওদের আয়ের উৎস বন্ধ করা হোক', বৈঠকে মাও-অধ্যুষিত রাজ্যগুলিকে নির্দেশ অমিত শাহর


গত কয়েক বছরে দেশে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা আগের থেকে কমলেও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। কমেছে মাওবাদীদের হাতে মৃত্যুর ঘটনাও। মাওবাদীদের কার্যকলাপ পুরোপুরি প্রতিহত করতে উপদ্রুত রাজ্যগুলি এক যোগে অপারেশন চালাতে পারে কি না, তাও ভেবে দেখার কথা বলেন শাহ। মাওবাদীদের যাতে কেউ আর্থিক মদত দিতে না পারে, তার জন্য কেন্দ্র-রাজ্য হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেছিলেন তিনি।


শাহ বলেছিলেন, মাও-উপদ্রব কমাতে পারলেই সারা দেশে প্রতি স্তরে গণতন্ত্রের বিস্তার ঘটানো সম্ভব হবে। অনুন্নত এলাকাগুলিতেও উন্নয়নের আলো পৌঁছবে ।