নয়াদিল্লি : মাওবাদী উপদ্রব আটকাতে আটকে দিতে হবে তাদের অর্থ সরবরাহ।  ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক ডেকেছিলেন অমিত। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে যাতে রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপ রুখে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে। 
দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সোমবার মাওবাদী সমস্যা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ১০ রাজ্যের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ থাকলেও অংশ নেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গরহাজির ছিলেন কেরল, ছত্তীসগঢ়, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই হাজির থাকেননি। মাওবাদী কার্যকলাপ রুখতে রাজ্যগুলিকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন অমিত শাহ। সেই সঙ্গে বলেন, রাজ্য যেন সচেষ্ট হয় মাওবাদী গোষ্ঠীগুলির রোজগার বন্ধ করে দিতে সচেষ্ট হতে। 
সরকারি সূত্রের দাবি, গত কয়েক বছরে দেশে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা আগের থেকে কমলেও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। কমেছে মাওবাদীদের হাতে মৃত্যুর ঘটনাও। এবার মাওবাদীদের কার্যকলাপ পুরোপুরি প্রতিহত করতে উপদ্রুত রাজ্যগুলি এক যোগে অপারেশন চালাতে পারে কি না, তাও ভেবে দেখার কথা বলেন শাহ। মাওবাদীদের যাতে কেউ আর্থিক মদত দিতে না পারে, তার জন্য কেন্দ্র-রাজ্য হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা বলেন তিনি। 
শাহ বলেন, মাও-উপদ্রব কমাতে পারলেই সারা দেশে প্রতি স্তরে গণতন্ত্রের বিস্তার ঘটানো সম্ভব হবে। অনুন্নত এলাকাগুলিতেও উন্নয়নের আলো পৌছবে । 
বৈঠকে আলোচনা হয় মাওবাদী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে উন্নয়নের বিষয়েও। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে সব জায়গায় মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে, সেখানে উন্নয়ন মূলক কাজের গতি বাড়াতে হবে। তৈরি করতে হবে স্কুল, মোবাইল টাওয়ার, রাস্তা, হাসপাতাল প্রভৃতি। এই প্রসঙ্গে তিনি ওড়িশা, বিহার ও ঝাড়খণ্ড সরকারের কাজের প্রশংসা করেন। ওড়িশা ও মহারাষ্ট্রের তরফে পিছিয়ে পড়া এলাকায় আরও উন্নয়ন মূলক কাজ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়। 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি,  নরেন্দ্র মোদির জমানায় আগের চেয়ে মাওবাদী হানার  ঘটনা অনেকাংশে কমেছে। তবে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের শিকড় দেশের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে দিতে মাওবাদী সমস্যা দূর করতে হবে। 

আরও পড়ুন :


শক্তি কমিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত গুলাব, কতটা প্রভাব এ রাজ্যে?