কলকাতা: ৩১ মে দেশজুড়ে স্টেশন মাস্টারদের কর্মবিরতির ডাক। প্রায় ৩৫ হাজার স্টেশন মাস্টার এই কর্মবিরতিতে শামিল হতে চলেছেন। শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ-সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দিলেন তাঁরা। তার জেরে ওই দিন দেশ জুড়ে ব্যাহত হতে পারে রেল পরিষেবা। 


স্টেশন মাস্টারদের কর্মবিরতিতে ট্রেন পরিষেবায় বিঘ্ন কেন!


শূন্যপদে নিয়োগ ছাড়াও আর যে যে দাবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল, রাতের ডিউটির জন্য বাড়তি টাকা। ২০২০-র সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই টাকা মিলছে না বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও, নিরাপত্তা, নতুন পেনশন বিধি বাতিল করা, আগের বিধি চালু করার মতো আরও একাধিক দাবি রয়েছে বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া স্টেশন মাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের জোনাল প্রেসিডেন্ট ধর্মবীর সিংহ। তিনি বলেন, "এতদিন শান্তিপূর্ণ ভাবেই দাবি-দাওয়া জানিয়ে আসছিলাম আমরা। ২০২০-র অক্টোবরে এক সপ্তাহ ধরে কালো ব্যাজ পরে কাজ করে গিয়েছি। পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটতে দিইনি।  ৩১ অক্টোবর একদিনের অনশনও করা হয়। তাতেও কাজ না হওয়াতেই কর্মবিরতি ডাকার সিদ্ধান্ত।" যদিও রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, "শূন্য পদে অগ্রাধিকার দিচ্ছে রেল, আলোচনাতেই মিটবে সমস্যা।"


আরও পড়ুন: Punjab CM Update: ঠিকাচুক্তির বিনিময়ে কমিশন! স্বাস্থ্য় মন্ত্রীকে ছাঁটাই ভগবন্তের, 'চোখে জল' কেজরিওয়ালের


লোকাল ট্রেন হোক বা দূরপাল্লার ট্রেন, রেল পরিষেবা চালু রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন স্টেশন মাস্টাররা। কেবিন থেকে বসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা বোক বা স্টেশনে চত্বরে জনস্বার্থের বিভিন্ন দিক, সবকিছুই সামলান তাঁরা। লোকাল ট্রেন হোক বা দূরপাল্লার ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেন হোক বা মালগাড়ি, স্টেশন ছেড়ে বেরনো, স্টেশনে ঢোকা, রুট পরিবর্তন, স্টেশন মাস্টারের সম্মতি ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। একই ভাবে স্টেশন চত্বরে যাত্রীরদের সুযোগ সুবিধা, পরিচ্ছন্নতা, কোন প্ল্যাট ফর্মে কোন ট্রেন দাঁড়াবে, সব কিছুই তাঁদের নির্দেশ অনুযায়ী সম্পন্ন হয়।

 

৭ হাজারের বেশি শূন্যপদ



 

স্টেশন মাস্টারদের অভিযোগ, বহু বছর ধরে স্টেশন মাস্টারের বহু শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। সেই নিয়ে বার বার অনুরোধ জানালেও, নিয়োগ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই রেল কর্তৃপক্ষের। বর্তমানে ৭ হাজারেরও বেশি স্টেশন মাস্টার পদ খালি পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তার জেরে কর্মরত স্টেশন মাস্টারদের ঘআডডে অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপছে বলে অভিযোগ।