মহারাষ্ট্র : করোনার মাঝেই মহারাষ্ট্রে মিউকোরমাইকোসিস আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় শনিবার সন্ধেয় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মহারাষ্ট্রে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানায়, এক হাসপাতালের আধিকারিক জানিয়েছেন করোনা সারিয়ে উঠলেও এই নতুন সংক্রমনণে ৮ জন প্রাণ হারান। অবশ্য রাত গড়াতেই বদলে যায় চিত্র। জানা যায়, মৃত্যুর খবর ভুয়ো। ফের সংবাদসংস্থা পিটিআই-ই জানায়, এই নতুন সংক্রমণে মৃত্যু নয়, দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ৮ জন। যে আধিকারিক এই তথ্য দিয়েছিলেন, তিনি 'অসাবধানতাবশত' মৃত বলে ফেলেছিলেন দৃষ্টিশক্তি হারানো রোগীদের!


মিউকোরমাইকোসিসে কারোর মৃত্যু হয়নি জানার পর কিছুটা স্বস্তি মিললেও এভাবে হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলা অনেককে ঘিরে এখনও রয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, মিউকোরমাইকোসিস সংক্রমণের জেরেই হাসপাতালে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন আরও প্রায় ২০০ রোগী। বিষয়টিকে যদিও ততটা গুরুত্ব দিতে নারাজ নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভিকে পল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে বলেও তিনি জানান।


ভিকে পল জানান, এটি এক ধরণের ফাংগাল ইনফেকশন, যা সাধারণত কোভিড রোগীদের মধ্যে দেখা যায়। সাধারণত যারা ডায়াবেটিক তাদের মধ্যে এই ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। যারা ডায়াবেটিক নন, তাদের ক্ষেত্রে সেভাবে এই ইনফেকশন দেখা যায় না। মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাংগালের বিষয়টি বড় কোনও সংক্রমণ হয়নি। তাও গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।


সাধারণত যাদের শরীরে সুগারের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকে, তাদের তুলনামূলক কম শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতার জেরেই এই ব্যাক্টেরিয়া আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলেই জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ক্যানসার বা অন্য গুরুতর কো-মর্বিডিটি যাদের রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও থাকে মিউকোরমাইকোসিসে সংক্রমণের আশঙ্কা।


পাশাপাশি এই পরিস্থিতিতে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল সতর্ক করে দিয়েছেন, অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা ডায়াবেটিক রোগীদের হাইজেনের দিকটা যথেষ্ট ভালো করে খেয়াল রাখার জন্য। সেটা না হলে তাঁদের ও তাঁদের মাধ্যমে বাকিদের মধ্যে এই মিউকোরমাইকোসিস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।