কলকাতা : বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ফের ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বুধবার আগরতলায় পদযাত্রা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ট্যুইট করে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের ট্যুইট, ' ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় পদযাত্রা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সন্ত্রাস, অপশাসন, জনবিরোধী নীতি, কথা না রাখার প্রতিবাদে এবং ত্রিপুরার প্রকৃত উন্নয়নের অভিযানকে সামনে রেখে কোভিড সতর্কতা রক্ষা করে এই পদযাত্রা করবেন তিনি।' 






২০২৩-এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে, ত্রিপুরা দখল করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে তৃণমূল। আগস্টের একদম শুরুতে টিম পিকে-র ২৩ জন সদস্যকে হোটেলবন্দি করা ও কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে মামলা রুজু করায় ত্রিপুরায় তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর শুরু হয়। এরই মধ্যে বিশ্রামগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে বিজেপি কর্মীদের হামলার অভিযোগে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরার রাজনীতি। আগরতলায়  তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  বিমানবন্দর থেকে  ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় মাঝপথে তাঁর গাড়িতে লাঠির বাড়ি মারা হয়। সেই ভিডিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ট্যুইট করেন। পাল্টা লোকসভা ভোটের প্রচারে বঙ্গে প্রচারে আসার সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে, আক্রমণ শানায় বিজেপি। এরপর থেকেই ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে তৃণমূল নানা কর্মসূচি নেয়। গত ১৬ অগাস্ট ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস পালন করে তৃণমূল। 


গত ৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার আমবাসায় বৈঠক করতে গিয়ে ফের আক্রান্ত হয়  তৃণমূল। মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এদিন আগরতলায় বিভিন্ন দল থেকে ২৯২ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফেসবুকে দলত্যাগীদের গ্রেফতার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রেক্ষিতে নাম না করে তৃণমূল নেতৃত্বকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করে ফেসবুকে দলত্যাগীদের গ্রেফতার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। বিপ্লব দেব লিখেছেন, ' এখানে যাদের দলে টানছে তারা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। আমার কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে,যার ভিত্তিতে তাদের আমি গ্রেপ্তার করাব।  ' 


অন্যদিকে, শিক্ষক দিবসে কালা দিবস হিসেবে পালন করেন, ত্রিপুরার স্থায়ী চাকরির দাবিতে আন্দোলনে সামিল ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিল করেন তাঁরা।