আশাবুল হোসেন, রাজীব চৌধুরী ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, নয়াদিল্লি : গোয়ায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee )হুঙ্কার ছাড়ছেন খুব তাড়াতাড়ি বিজেপিকে ব্ল্যাক লিস্টেড করার! আর তাঁর দলের হয়ে গোয়ায় রাজনৈতিক কৌশল তৈরির চেষ্টা করছেন যে প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor), সেই তিনিই গোয়ার মাটিতে দাঁড়িয়েই ভবিষ্যদ্বাণী করে বলছেন, বিজেপি এখানেই থাকবে!
আর কংগ্রেস প্রশ্ন করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন প্রকাশ্যে বলছেন না, যে তিনি প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন? তাহলে কি এর মধ্যে কোনও গোপন রাজনৈতিক সমীকরণ আছে?
লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ' আপনার দলের মার্কেটিং ম্যানেজার প্রশান্ত কিশোর বলছে বিজেপি এখানে থাকবে। একদিন দুদিন নয়, কয়েক দশক। কে বলছেন? আপনার মেন্টর, আপনার পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। আপনি তাঁকে সংবাদমাধ্যমে বলাচ্ছেন বিজেপি থাকবে। কই আপনি তো বিরোধিতা করেননি একবারও? আপনি তার বিরোধিতা করছেন না কেন দিদিভাই?'
অন্যদের সুযোগ দিয়েছেন। একবার তৃণমূলকেও সুযোগ দিন। শুক্রবার গোয়াবাসীর কাছে এই আবেদন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ও বিজেপিকে একবন্ধনীতে ফেলে আক্রমণও শানান তৃণমূল নেত্রী। জবাবে অধীর চৌধুরী বলেন, ' আপনার ওপর সুপারি আছে। বিজেপি আপনাকে সুপারি দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মাধ্যমে। যে কংগ্রেসকে দুর্বল করে হবে, নইলে বিজেপি শক্তিশালী হবে না'
বৃহস্পতিবার বিজেপির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেওয়ার পাশাপাশি রাহুল গাঁধীরও সমালোচনা করেন প্রশান্ত কিশোর। আর এরমধ্যেও বিজেপি-তৃণমূলের খেলা দেখছে কংগ্রেস। পিকে-কে আক্রমণ করে অধীর চৌধুরী বলেন, ' ২০১৪-তে মোদির খেয়ে প্রশান্ত কিশোর স্লোগান তৈরি করল - আচ্ছে দিন আনেওয়ালা হ্যায়, এই প্রশান্ত কিশোর আপনার জন্য স্লোগান তৈরি করল - দুয়ারে সরকার, আপনার মার্কেটিং ম্যানেজার দিদিরও খায়, মোদিরও খায়'
কলকাতা থেকে পানাজির দূরত্ব প্রায় ২২০০ কিলোমিটার। আর গোয়াতে পা রেখে আবেগ দিয়ে গোয়াবাসীর মন জয় করতে চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার গোয়া থেকে কলকাতা ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনই ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গোয়া যাচ্ছেন রাহুল গাঁধী।