রায়পুর: বার বার হর্ন (honking) বাজালেও কিছুতেই রাস্তা ছাড়ছিলেন না সাইকেল-আরোহী (cycle rider)। শেষমেশ তাঁরই ঘাড়ে চাকু বসিয়ে দিল কিশোরী (teenager)।  অন্তত প্রাথমিক তদন্তে তেমনই জানতে পেরেছে পুলিশ (police)। আর তাতেই চমকে উঠেছেন তদন্তকারীরা। মাত্র ১৫ বছর বয়সে এত আগ্রাসন কেন? ছত্তিসগড়ের ঘটনা। মারা (dead) গিয়েছেন আরোহী।
নিহতের নাম সুদামা লাদের। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ভালো শুনতে (hearing impairment) পেতেন না সুদামা। ফলে সম্ভবত কিশোরীর মোটরসাইকেলের হর্নও তিনি শুনতে পাননি। তাই বুঝতেও পারেননি তাঁকে অনেক ক্ষণ ধরেই 'ওভারটেক' করতে চাইছে সে। কিন্তু এটা ঠিক কত বড় অপরাধ? আদৌ অপরাধ কি?নিহতের পরিবার তো বটেই, পুলিশও স্তম্ভিত।


কী হয়েছিল?


ছত্তিসগড়ের রায়পুরের কঙ্কালিপারা এলাকা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সুদামা। একই সময়ে মাকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। বার বার হর্ন দিলেও সুদামা রাস্তা ছাড়েননি। পুলিশের বক্তব্য, কিশোরীর মনে হয়েছিল তাকে অগ্রাহ্য করছেন সাইকেল-আরোহী। একটা সময়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সুদামার উপর চিৎকার শুরু করে সে। তাতেও শেষ হয়নি। অভিযোগ, রাগের মাথায় সাইকেল আরোহীর ঘাড়ে চাকুও বসিয়ে দেয়। জখম অবস্থায় সুদামাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও রাস্তাতেই মারা যান তিনি।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতেই মাকে ঘটনাস্থলে ফেলে পালায় কিশোরী। পরে অবশ্য তাকে মন্দির হসাউদ এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। যে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ, সেটিও উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। কিন্তু গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত পোড়খাওয়া তদন্তকারীরাও।


প্রশ্ন যেখানে...


স্রেফ রাস্তা না ছাড়ার জন্য চাকুর আঘাত? এই কারণে এত আগ্রাসন কেন? ১৫ বছরের কিশোরী চাকু নিয়েই বা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কেন? মা কি জানতেন সে কথা? একটা ঘটনা, কিন্তু প্রশ্ন অনেক।


আরও পড়ুন:স্বামী খুনে অভিযুক্ত বিখ্যাত ভারতীয় রেস্তোরাঁর মালিক', 'জয় ভীম'-র-পর 'দোসা কিং' জ্ঞানাভেলের