নয়াদিল্লি : কাবুল থেকে ৭৮ জনকে নিয়ে এল বায়ুসেনার বিমান। সকাল ১০টার কিছু আগে নয়াদিল্লিতে নামে এই বিমান। সেই বিমানেই দেশে এল পবিত্র গুরু গ্রন্থ সাহিব। 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী মাথায় করে বার করলেন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ (Shri Guru Granth Sahib)। শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হল পবিত্র ধর্মগ্রন্থ।



এই বিমানে ৭৮ জনের সঙ্গে ছিলেন ২৫ ভারতীয় নাগরিক। তিনি বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই, আফগানিস্তানে কঠিন পরিস্থিতিতে থাকা আমাদের ভাইদের ফিরিয়ে আনার জন্য । তাঁর জন্যই উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হয়েছে। বাকিদের জন্যও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা আছি ,তাঁদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।"


 




ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলি চলছে অবিরত। দূর-দূর থেকে শোনা যাচ্ছে গুলির আওয়াজ। ক্রমেই বেড়ে চলেছে তালিবানের ত্রাস। তালিবান ও বিদেশি বাহিনী উভয়ই শূন্যে গুলি চালাচ্ছে । তালিবানের দাবি, বিমানবন্দরের দিকে ধেয়ে আসা ভিড় ঠেকাতেই গুলি। ফিরে আসছে বামিয়ান বুদ্ধ ধ্বংসের স্মৃতি। বামিয়ান বুদ্ধের মতো এবার আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের গজনি গেট ধ্বংস করল তালিবান। তাণ্ডব চলছে অসংখ্য ঐতিহাসিক নিদর্শনে ভরপুর গজনি শহর জুড়ে। প্রথমবার আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করার পরই তালিবানরা ধ্বংস করেছিল বামিয়ান বুদ্ধ। ফলে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে সন্ত্রাস। 
আফগান পপ তারকা আরিয়ানাও ছেড়েছেন দেশ। কিন্তু তার আগে  কাটানো কয়েক ঘণ্টার হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা তিনি শুনিয়েছেন সকলকে। তাঁর মতে, ''একদল পাকিস্তানির হাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গনি। তাঁর ভূমিকায় আফগানরা হতাশ।'' তাঁর আশঙ্কা, ক্রমেই গৃহযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে আফগানিস্তান। 
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। আন্দরাব এলাকায় সংঘর্ষ চলছে দু’পক্ষের।  এরই মধ্যে আমরুল্লা সালেহ অভিযোগ করেছেন, উত্তর বাগলান প্রদেশের আন্দরাব উপত্যকায় খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। ফলে চরম দুর্দশায় পড়েছেন এই এলাকার বাসিন্দারা।
পঞ্জশিরকে কার্যত ঘিরে ফেলেছে তালিবান। সেখানে তুমুল সংঘর্ষ চলছে।  পঞ্চশিরের তালিবান প্রতিরোধ বাহিনীর জন্য ইতিমধ্যে এসে পৌঁছেছে প্রচুর অস্ত্র ও গাড়ি।  এদিকে, আমেরিকার সেনাদের দোভাষির কাজ করা এক ব্যক্তির ভাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে তালিবান।