চেন্নাই : করোনা কেড়ে নিয়েছে বাবাকে। আর যেন কারোর বাবাকে কোভিড ছিনিয়ে নিতে না পারে, সেই জন্য নিজের সাধ্যের সবটুকু তুলে দিল ১১ বছরের খুদে। গত চার বছর ধরে অল্প অল্প করে জমানো তার সম্বল ২ হাজার টাকা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে জমা দিয়েছে এন রিধানা। 


ছোটবেলাতেই রিধানা জানতে পারে তাঁর বাবার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। যাতে বাবার ভালো ভালো চিকিৎসা করানো যায়, তাই দীর্ঘদিন ধরেই সাধ্যমতো সঞ্চয় করেছিল সে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মারণ ভাইরাসের করাল থাবা রিধানার বাবাকে ছিনিয়ে নেয় তার থেকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাবাকে হারায় সে। বাবা চলে যাওয়ার পর থেকেই সংসারে লেগে ছিল অনটন। কিন্তু বর্তমানে দেশ তথা তার রাজ্য তামিলনাড়ুতে যেভাবে থাবা বসিয়েছে করোনা, তাতে নিজের সঞ্চয় বিশেষ একটি কারণে খরচ করার সিদ্ধান্ত নেয় সে।


কোভিলপাট্টিতে তুতিকোরিনের সাংসদ কানিমোঝির হাতে রিধানা তুলে দিয়েছে তার জমানো দু-হাজার টাকা। যার পর সে বলেছে, 'চাই না আমার মতোই কেউ বাবাকে হারিয়ে কষ্ট পাক।'


এদিকে, চেন্নাইয়ের এক ওয়াচম্যান তাঁর গোটা মাসের বেতন তুলে দিয়েছেন তামিলনাড়ুর চিফ মিনিস্টার পাবলিক রিলিফ ফান্ডে। ৫৯ বছরের থাঙ্গাদুরাই তার ১০ হাজার ১০১ টাকা বেতনের পুরোটাই রিলিফ ফান্ডে তুলে দেওয়ার খবর পৌঁছয় খোদ নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিনের কাছেও। যার পর তিনি সেই ওয়াচম্যানকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁর হাতে স্বীকৃতি হিসেবে তুলে দিয়েছেন তাঁর বাবা তথা তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুনানিধির লেখা বই 'থিরুকুরাল'। যে ঘটনা ট্যুইটারে শেয়ারও করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।


তামিলনাড়ুতে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। তামিলনাড়ুতে এখনবও পর্যন্ত মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছেন ১৫.৬৫ লক্ষ জন। যার মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র চেন্নাইতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৪.৩২ লক্ষ। যেখানে কোভিড কেড়ে নিয়েছে ৫ হাজার ৭০০ জনকে।