আবির দত্ত, কলকাতা : মোদি সরকারের অগ্নিপথ-সিদ্ধান্তের (Agnipath protests) প্রতিবাদে, রাস্তায় নেমেছেন, সেনায় চাকরির স্বপ্ন দেখা হাজার হাজার যুবক। যা দেখে অনেকে বলছেন, বেকারত্ব নিয়ে গত কয়েকবছরে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাতে অনুঘটকের কাজ করেছে অগ্নিপথ। অগ্নিপথ-সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভের আগুন ছড়াচ্ছে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে। সেকেন্দ্রাবাদে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেছে এক তরুণের। বিহারের লখিসরাইতেও মৃত্যু হয়েছে একজনের। অগ্নিগর্ভ অবস্থা বিহারের। সেখান থেকে অনেকেই ফিরছেন এ রাজ্যে। কেউ আবার এ রাজ্য হয়ে ট্রেন ধরবেন নিজেদের রাজ্যের উদ্দেশে।
বিহার থেকে আসা হাটেবাজারে এক্সপ্রেসের যাত্রীদের চোখে-মুখে আতঙ্ক। আজ ভোর ৪টের সময় ঢোকার কথা ছিল শিয়ালদা স্টেশনে। অগ্নিপথ-বিক্ষোভের জেরে এদিন হাটেবাজারে এক্সপ্রেস কলকাতায় পৌঁছয় সকাল সাড়ে ৭টায়। যাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বাড়িতে থাকা পরিবারের সদস্যরা। সঙ্গে বেশি খাবার না থাকায় চিন্তা আরও বেড়েছে। যাত্রীদের একটি দল আজ দুপুরে কেরলে যাওয়ার ট্রেন ধরবে। দক্ষিণ ভারতেও অগ্নিপথ-বিক্ষোভের আঁচ ছড়ানোয় তাঁরা আতঙ্কিত।
উত্তর থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ ক্ষোভের আগুন ছড়াচ্ছে একের পর এক রাজ্যে। আগুন-ভাঙচুর-গুলি-কাঁদানে গ্যাস, ধরপাকড় বাদ যাচ্ছে না কিছুই পরপর জ্বলছে ট্রেন। আগুনের লেলিহান শিখা...আর ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ, পুড়ে ছাই স্টেশন থেকে টোল প্লাজা। এই পরিস্থিতিতে আগুন বাঁচিয়ে নিজের ঘরে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছেন সকলেই।
অন্যদিকে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে বাংলাতেও। সেনায় চার বছরের নিয়োগ প্রকল্প অগ্নিপথের বিরোধিতায় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। প্রায় ২ ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।