নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে একাধিক পরিবর্তন ঘটানো হলেও, সেনায় নিযুক্তির 'অগ্নিপথ' প্রকল্প (Agnipath Scheme) নিয়ে এ বার কড়া অবস্থান নিতে দেখা গেল সেনাকে। বিগত চার-পাঁচ দিন ধরে চলে আসা অশান্তি, হিংসা এবং অগ্নিসংযোগের (Arson) ঘটনায় যুক্ত ছিলেন যাঁরা, চাকরিতে তাঁদের প্রবেশের রাস্তা বন্ধ বলেই একরকম ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল। প্রতিরক্ষা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোনও রকম হিংসা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন না বলে আগে প্রমাণ দিতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। তবেই সেনায় যোগ দেওয়ার পরবর্তী প্রক্রিয়া এগোবে (Armed Forces)। 


'অগ্নিপথ' প্রকল্পে নিয়োগে নয়া শর্ত কেন্দ্রের


দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন দেশের তিন বাহিনীর প্রধান। সেখানেই বিক্ষোভকারীদের নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। সেনা সংক্রান্ত বিভআগের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরি বলেন, "কোনও রকম বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অংশ নেননি বলে অঙ্গীকার করতে হবে সমস্ত অগ্নিবীরকে।"


তবে চাকরিপ্রার্থীদের মুখের কথাই যে প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিন সেনার প্রধান। তাঁরা জানিয়েছেন, অগ্নিবীর হিসেবে সেনায় অন্তর্ভুক্তির আগে আবেদনকারী সকলের ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখবে পুলিশ।  লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরির কথায়, "শৃঙ্খলাই সশস্ত্রবাহিনীর ভিত্তি। কোনও প্রার্থীর নামে কোথাও এফআইআর দায়ের হয়ে থাকলে অগ্নিবীরের দলে শামিল হতে পারবেন না তিনি।"


আরও পড়ুন: Railway Rules: 'অগ্নি আঁচে' ট্রেন বাতিল, টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন কীভাবে ?


লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরি বলেন, "সশস্ত্রবাহিনীতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের কোনও জায়গা নেই। প্রত্যেক আবেদনকারীকে লিখিত শংসাপত্র দিতে হবে যে, তাঁরা এই ধরনের ঘটনায় লিপ্ত ছিলেন নাষ ১০০ শতাংশ পুলিশি যাচাই করা হবে। তার ব্যাতীত কেউ যোগ দিতে পারবেন না। ভর্তির আবেদনপত্রেই লিখিত নেওয়া হবে। তার পর যাচাই করা হবে সত্যতা।"


সেনায় হিংসা, ভাঙচুরের জায়গা নেই, জানিয়ে দেওয়া হল


লাগাতার বিক্ষোভ, হিংসা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের পর সম্প্রতি 'অগ্নিপথ' প্রকল্পে বেশ কিছু সংশোধন ঘটানো হয়েছে। বয়সের ঊর্ধসীমা এককালীন বাড়িয়ে সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অসম রাইফেলস, আধাসেনায় ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথাও জানানো হয়েছে। কিন্তু চাপের মুখে পড়ে নয়, আগে থেকেই সংরক্ষণের বিষয়টি ঠিক করে রাখা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।