নয়াদিল্লি: বাগে আসছে না, উল্টে দেশে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন হঠাৎ লাগামছাড়া কোভিড পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে দেশে? এ নিয়ে মুখ খুললেন 'অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস' (AIIMS)-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।


দেশে নিত্যদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়াচ্ছে। একে একে করোনা কার্ফু জারি হয়েছে মুম্বই-দিল্লিতে। আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে বেশ কয়েকটি রাজ্য। প্রশ্ন জাগে, কেন এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হল ভারতকে? এ প্রসঙ্গে দুটি যুক্তি তুলে ধরেছেন 'অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস'-এর ডিরেক্টর।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সেই সময় দেশে করোনার গ্রাফ নীচে নামতে থাকে। এরপরই কোভিড বিধি মানা বন্ধ করে দেন অনেকেই। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সকলকে। বর্তমানে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

গুলেরিয়া বলেছেন, 'সাম্প্রতিককালে বহু ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশপাশি নির্বাচন চলছে দেশে। যার জেরে বহু জায়গায় বিপুল লোকের সমাবেশ ঘটছে। যা থেকে স্বাভাবিক ভাবেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সবাইকে বুঝতে হবে মানুষের জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ নির্দিষ্ট কোভিড বিধি মেনে ধর্মীয় আচার আচরণ পালন করতেই পারেন। এতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতও লাগবে না।'

এই বলেই থেমে থাকেননি রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি বলেন, 'বর্তমানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক চাপ আসছে। যেহেতু করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাই বেডের সংখ্যাও আনুপাতিক হারে বাড়াতে হচ্ছে। তবে মানুষকে বুঝতে হবে, দিল্লিতে এখন করোনা গ্রাফ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ৬-৭ মাস আগে রাজধানীর এই পরিস্থিতি ছিল না। বর্তমানে ব্রিটেন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার স্ট্রেইন দিল্লিতে পাওয়া গিয়েছে। যা খুবই উদ্বেগের বিষয়।'

এদিন ভ্যাকসিন নিয়েও সবাইকে সতর্ক করেন AIIMS-এর দিল্লির ডিরেক্টর। তিনি বলেন, 'ভ্যাকসিন কখনেওই ১০০ শতাংশ কার্যকারী হয় না। টিকা নেওয়ার পরও ইনফেকশন হতেই পারে। কিন্তু শরীরে অ্যান্টিবডি থাকায় দ্রুত বেগে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারবে না ভাইরাস।'