লখনউ: বৃহস্পতিবার থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh Assembly Elections 2022)। আর সেই দিনই জামিন পেলেন লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri Case) কৃষকদের উপর গাড়ি (farmers Killed) চালিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির (Ajay Mishra Teni) ছেলে আশিস মিশ্র ওরফে মনু (Ashish Mishra)। বৃহস্পতিবার এলাহাবাদ হাই কোর্টের লখনউ বেঞ্চ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে। তাতেই প্রায় চার মাস পর জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন আশিস।
আশিসের আইনজীবী সলিল শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, মন্ত্রীপুত্র নন, ওই দিন গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁদের ড্রাইভার হরিওম মিশ্র। আত্মরক্ষায় গাড়ির গতি বাড়ানো হয়। চালকের অপরাধের সাজা কেন মালিক পাবেন, আদালতে এমনও দাবি করেন সলিল। এমনকি হিংসা চলাকালীন গুলি চালানোর কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি করেন তিনি। চার্জশিট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্তের আইনজীবী। তিনি জানান, পুলিশ যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)-এর কোনও আধিকারিকের স্বাক্ষর নেই। তাই চার্জশিটটিকেই বেআইনি বলে দাবি করেন সলিল।
যদিও এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত তদন্ত কমিটি জানায়, লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের চাপা দেওয়ার ঘটনায় ষড়যন্ত্র হয়েছে। ওই ঘটনায় আশিসকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিতও করা হয়।
আরও পড়ুন: Wrestler Khali Joins BJP: বিজেপিতে যোগ দিলেন গ্রেট খালি, বললেন, মোদি দেশের উপযুক্ত প্রধানমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরোধিতায় দেশে যখন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা, সেই সময় গত ৩ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আশিসের বিরুদ্ধে। ঘাতক এসইউভি গাড়িটি তাঁদের পরিবারের নামেই নথিভুক্ত ছিল এবং ঘটনার সময় গাড়ির চালকের আসনে আশিসই ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন কৃষকরা।
ওই ঘটনায় চার কৃষক, এক সাংবাদিক-সহ মোট আট জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তাঁর ছেলে। সেই নিয়ে বেশ কয়েক দিন গড়িমসির পর আশিসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দাবি ওঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে তাঁর বাবাকে সরানোর। কিন্তু এখনও মন্ত্রীই রেছেন অজয়। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে প্রচারেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
বৃহস্পতিবার থেকে সাত দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ লখিমপুর খেরিতে। তার আগে আশিসের জামিন মঞ্জুর হওয়ার পিছনে রাজনৈতিক সংযোগ দেখছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। কারণ ওই এলাকায় আশিস এবং তাঁর বাবার যথেষ্ট দাপট রয়েছে।