নয়াদিল্লি ও কলকাতা: ভোটাররা সাবধান হোন। আপনাদের ভুলের জন্য বিজেপি যদি ক্ষমতায় না আসে, তবে উত্তরপ্রদেশের অবস্থা হবে বাংলা, কেরল, কাশ্মীরের মতো। প্রথম দফার ভোট শেষ হওয়ার আগে বিতর্কিত মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।


প্রথম দফার ভোটের আগে রাজ্যের ভোটারদের বিশেষ বার্তা দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন যোগী আদিত্যনাথ।  তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস ও সিপিএম। তারা বলেছে, হারের আঁচ পেয়ে ভোটারদের বেপরোয়া হুমকি দিচ্ছেন যোগী।


তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, জয় সম্পর্কে নিশ্চিত নন, পরাজয়ের গন্ধ পাচ্ছেন। তাই এসব আবোল-তাবোল বকছেন। এ রাজ্যে ভোটের আগে প্রচারে এসেছিলেন যোগী। সব সভা ফাঁকা ছিল। বাংলার মানুষ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।ওঁদের হিন্দুত্বের রাজনীতি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কারণ, এখানে দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর সম্মান পেয়েছে। এ ব্যাপারে ওঁদের বলার কিছু নেই। আর উন্নয়নের দিক থেকেই চূড়ান্ত ব্যর্থ যোগী সরকার।  যোগীর সরকারের কাজ ছিল  করোনায় মৃতদের  লাশ গঙ্গায় ফেলা। আর বাংলার কাজ ছিল, সেই মৃতদেহ তুলে সসম্মানে সৎকারের ব্যবস্থা করা।  আসলে সমস্ত কিছু দিক থেকেই ব্যর্থ যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। পরাজয়ের আশঙ্কা থেকেই এই মন্তব্য করছেন যোগী আদিত্যনাথ। উন্নয়নের দিক থেকে বাংলার সঙ্গে কোনও কিছুতেই তুলনাতেই আসেনা যোগীর উত্তরপ্রদেশ।


 প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, যোগীর আমলে   অধম প্রদেশ হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ।, খুন, ধর্ষণ ডাকাতির ঘটনা যোগীর শাসনেই সবচেয়ে বেশি। কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলা, হাথরস ও উন্নাওয়ের ঘটনায় যোগী সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট।  যোগী পাগল প্রায় হয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতিকে আঁকড়ে ধরতে চাইছেন। বাংলায় সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না,ইতিহাস জানেন না। তিনি যোগী নন,  রাজনৈতিক ক্ষমতা-ভোগী। রাজনৈতিক ক্ষমতা ধরে রাখার জন্যই এ ধরনের মন্তব্য করছেন তিনি। এর ঘোর নিন্দা করি। এই সংকীর্ণ মন্তব্যের মাধ্য়মে বাংলার মানুষকে অপমান করছেন যোগী। হারের আশঙ্কাকেই মুর্খের মতো এই মন্তব্য।


সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেছেন,  এ তো সরাসরি ভোটারদের হুমকি। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী?  কমিশন নীরব কেন? উন্নয়নের কাজে চরম ব্যর্থ যোগী সরকার। কোন কাজের নিরিখে এভাবে তুলনা টানতে চাইছেন অন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে?সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে হাতিয়ার করতেই এ ধরনের মন্তব্য করছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মানুষের কাছে আবেদন জানাব, যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার।