নয়াদিল্লি: দেশে করোনা গ্রাফের ওঠানামা চলছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৫। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৭১। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৭৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৭ হাজার ৮৪১।
কোভিড লড়াইয়ে five-fold পদ্ধতিতে আস্থা রাখতে কেন্দ্র। তেমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। সেই পদ্ধতি কী? করোনা পরীক্ষা, সংক্রমণের হদিশ বা ট্র্যাক, চিকিৎসা, টিকাকরণ এবং কোভিড বিধি পালন। এই চারটি বিষয়ে নজর রাখার বলছে কেন্দ্র। পরীক্ষা বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। INSACOG নেটওয়ার্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে নমুনা পাঠাতে বলা হয়েছে। নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এলে যাতে তা দ্রুত ধরা পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই এই পরামর্শ। রাজ্যগুলিকে চিঠিতে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।
এর সঙ্গেই টিকাকরণ বৃদ্ধিতেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। যাঁরা যাঁরা টিকার আওতায় পড়ছেন, তাঁরা সকলে যেন দ্রুত টিকা নেন সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। কারণ টিকাকরণ হলে কোভিড ঢেউ এলেও তা রোখা সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিকমতো যাতে কোভিড বিধি মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করার জন্যও চিঠিতে লেখা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
কোভিড ঢেউয়ের শুরু থেকেই শিশুদের (child) কোভিড সংক্রমণ নিয়ে প্রবল উদ্বেগ ছিল বিজ্ঞানী ও অভিভাবকদের মধ্যে। নতুন একটি গবেষণায় যা তথ্য উঠে এসেছে তাতে অনেকটাই আশ্বস্ত হবে অভিভাবকরা। নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, যে শিশুরা কোভিড সংক্রমিত হয়েছে তাদের শরীরে কোভিড প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি (antibody) তৈরি হয় যা অন্তত সাত মাস শরীরে থাকে। কোভিড সংক্রমিতদের অন্তত ৯৬ শতাংশের দেহেই সাত মাসের জন্য থাকে অ্যান্টিবডি। পেডিয়াট্রিকস (pediatrics) জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি। আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশে বিভিন্ন বয়সের ২১৮ জন শিশুর উপর পরীক্ষা করে, সেই তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণা করা হয়েছে।