ঝিলম করঞ্জাই, পার্থপ্রতিম ঘোষ , সমীরণ পাল, কলকাতা : কখনও উত্তরাখণ্ড, কখনও জম্মু-কাশ্মীর। বিভিন্ন সময় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ভয়াবহতার সাক্ষী থেকেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প সময়ে, কোনও এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিতে নামে হড়পা বান৷



হড়পা বান কী
শুধু পাহাড় নয়, সমতলেও হতে পারে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। অল্প সময়ের মধ্যে, অনেকটা বৃষ্টি! আর তার জেরেই হড়পা বান! এক কথায় যাকে বলে, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি৷ ২০১২ সালের অগাস্টে, প্রকৃতির এই রুদ্ররূপের সাক্ষী থেকেছে জম্মু-কাশ্মীর । এরপর, ২০১৪ সালের অগাস্টেও মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।


কোথায় কখন মেঘ ফাটা বৃষ্টি
২০১৬’র জুলাইতে উত্তরাখণ্ডে ফের মেঘ ফাটা বৃষ্টিতে মৃত হয়েছিল ২০ জনের। এবারও কি সেই মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরেই এই রুদ্রুরূপের সাক্ষী থাকল অমরনাথ? 

আরও পড়ুন :


 মায়ের দিকেই ধেয়ে আসছিল পাথর, বাঁচাতে গিয়ে কীভাবে বলি বর্ষা ?


কী এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি? 

বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্প সময়ে, কোনও এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিতে নামে হড়পা বান৷ শুধু পাহাড় নয়, সমতলেও হতে পারে এই মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার বলছেন, অমরনাথে যা হয়েছে তা মেঘ ভাঙা বৃষ্টি নয়। যদিও, মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, অমরনাথে হয়তো মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়নি। স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টির জেরেই হড়পা বান এসে থাকতে পারে।


এখনও নিখোঁজ বহু পুণ্যার্থী
অমরনাথে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এখনও নিখোঁজ বহু পুণ্যার্থী। রাতভর চলেছে উদ্ধারকাজ।  চারিদিকে শুধুই আতঙ্কের ছবি। বিপর্যস্ত উপত্যকায় আটকে ত্রস্ত বাংলার পুণ্যার্থীরাও। বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছেন তাঁরা। এদিকে হাতে আর টাকা নেই। কিন্তু তাঁবুতে তো থাকতে হবে। সেখানে বিনা পয়সায় আর আশ্রয় দিতেও চাইছেন না মালিকদের একাংশ। সবমিলিয়ে ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্কের দিন-রাত্রি। এদিকে উদ্বেগ বাড়ছে তাঁদের পরিবারেও। আবার কেউ কেউ ফিরছেন ঘরে। অনেকেই স্থান পেয়েছেন ত্রাণ শিবিরে।