শ্রীনগর : ভোটের পর রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু ও কাশ্মীর। আজ তিন দিনের জম্মু-কাশ্মীর সফরে গিয়ে একথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। 


২০১৯-এর অগাস্টে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয় জম্মু-কাশ্মীর। কাশ্মীর থেকে ভেঙে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয় লাদাখকে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের যুক্তি ছিল, এর ফলে, বন্ধ হবে সন্ত্রাস। কারগিল-লাদাখের মতো এলাকার নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। এর পাশাপাশি, ভিটেয় ফিরতে পারবেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কিন্তু, বিরোধীদের অভিযোগ, বাস্তবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। দলে দলে উপত্যকা ছাড়ছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। জঙ্গি হামলার রক্তাক্ত হচ্ছে ভূস্বর্গ।


এই অবস্থায়, বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর, প্রথমবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে এসে রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, আসন পুনর্বিন্যাস কেন বন্ধ হবে ? তাতে আমাদের রাজনীতির ক্ষতি হবে। এখন আর কাশ্মীরে কোনও কাজ আটকে থাকবে না। কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায় যাতে সুযোগ পান, তাই আসন পুনর্বিন্যাসও হবে। আসন পুনর্বিন্যাসের পর ভোট হবে। তারপর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আমি দেশের সংসদে এটা বলেছি। এটাই রোডম্যাপ। আমি তো কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করতে এসেছি। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর তৃণমূল স্তরে পৌঁছে গেছে গণতন্ত্র। যেটা আগে কয়েকটি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তিনটি পরিবার ৭০ বছর ধরে রাজত্ব করেছে। কেন ৪০ হাজার মানুষকে খুন হতে হল ?


২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা রদের পর এই প্রথমবার কাশ্মীরে এলেন অমিত শাহ। এদিন নগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় নিহত জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ অফিসার পারভেজ আহমেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিহত অফিসারের স্ত্রীর হাতে তুলে দেন চাকরির নিয়োগপত্র। "প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে নতুন জম্মু-কাশ্মীর গড়ে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ," ট্যুইটে লেখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।


অমিত শাহ বলেন, "যে সময় মোদি সরকার আসে, তখন ২০ হাজার গ্রাম ছিল যেখানে স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও বিদ্যুৎ ছিল না। আজ প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব  ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।