নয়াদিল্লি: আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভায় চমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ক্যাবিনেটে এলেন একদা রাহুল গাঁধী ঘনিষ্ঠ জিতিন প্রসাদ। সব মিলিয়ে মন্ত্রিসভায় নতুন সাত মুখ নিয়ে এলেন যোগী।


নব নিযুক্ত মন্ত্রীদের মধ্যে নাম রয়েছে-জিতিন প্রসাদ, ছত্রপাল গাংওয়ার, সঙ্গীতা বলবন্ত, পাল্তু রাম, দীনেশ খাটিক ও ধরমবীর সিংহের। এদিন রাজ্যপাল আনন্দীবন পটেল এই সাত নতুন মুখদের শপথ নেওয়ান। বেলার দিকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের খবর নিশ্চিত করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্রদেব সিংহ। এবিপি নিউজকে টেলিফোনে এই খবর জানিয়েছিলেন তিনি। 


সূত্রের খবর, জিতিন প্রসাদকে ক্যাবিনেট মিনিস্টার করলেও বাকিদের মিনিস্টার অফ স্টেট বা প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়া হবে। গত ৯ জুন দিল্লিতে তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের উপস্থিতিতে কংগ্রসে ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জিতিন। এরপরই উত্তরপ্রদেশের এই ব্রাহ্মণ মুখকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়।


একদা রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ বলেই কংগ্রেসে পরিচিত ছিলেন তিনি। যুব মুখ হিসাবে এবার তাঁকে রাজ্যে ভোটের আগে প্রোজেক্ট করতে পারেন যোগী আদিত্যনাথ। শোনা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঠাকুর সম্প্রদায়ের হওয়ায় ব্রাহ্মণদের ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে চিন্তিত মোদি-শাহ ব্রিগেড। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তাঁরা। ব্রাহ্মণ মুখ জিতিন প্রসাদকে মন্ত্রিসভায় এনে বার্তা দিতে চাইলেন পণ্ডিতকুলকে। 


উত্তরপ্রদেশের ভোট মানচিত্র বলছে, রাজ্যে ১৩ শতাংশ ব্রাহ্মণ ভোট রয়েছে।যা দিনে দিনে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। আসন্ন ভোটে ব্রাহ্মণদের পুরো ভোটবাক্স নিজেদের শিবিরে আনতে চাইছে যোগীর দল। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি আসনের মধ্যে ৩৫০টি সিট পাওয়ার দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৭ সালে রাজ্যে ৩২৫টি আসন পায় বিজেপি। সেখানে দাঁড়িয়ে সমাজবাদী পার্টি পায় ৫৪টি ও ১৯টি আসন পায় বহুজন সমাজ পার্টি। 


কোভিডের কারণে মৃত্যু মন্ত্রীদের
২০১৭ সালের ১৯ মার্চ যোগীর মন্ত্রিসভা গঠন হয়। পরবর্তীকালে ২০১৯ সালের ২২ অগাস্ট নতুন করে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় আদিত্যনাথের ক্যাবিনেটে ৫৬ জন মন্ত্রী ছিলেন। সম্প্রতি যাঁদের মধ্যে তিন মন্ত্রীর কোভিডে মৃত্যু হয়েছে।