নয়াদিল্লি : আগামী বছর পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের মুখে কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে মোদি সরকার। এই সিদ্ধান্তে কৃষকদের জয় দেখছে বিরোধী শিবির। এই অবস্থায় সরকারের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির ভূমিকাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, 'কৃষি আইন নিয়ে এই ঘোষণা রাষ্ট্রনায়কোচিত। ঘোষণাকে স্বাগত। প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সেবা করার পাশাপাশি তাঁদের পাশেও থাকবে। প্রধানমন্ত্রী গুরু নানকের জন্মদিনটিকে এই ঘোষণার জন্য বেছে নিয়েছেন। এই ঘোষণার সময় প্রতিটি ভারতীয়র স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছুই মাথায় রাখা হয়নি। এতেই বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী একজন যথার্থ রাষ্ট্রনায়কের ভূমিকা পালন করেছেন। '
দেশজুড়ে প্রতিবাদের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত ৩টি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। গুরু নানকের জন্মদিনে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘোষণা করে মোদির আবেদন, কৃষকরা এবার মাঠে ফিরে আসুন। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত কৃষি আইন সংসদের উভয় কক্ষে পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরই রাস্তায় নামেন কৃষকরা। এই ইস্যুতে প্রায় প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শুরু করেন রাহুল গান্ধী। তিনি গত ১৪ জানুয়ারি জানিয়েছিলেন, এই আইন আগামীদিনে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে কেন্দ্র। ১৯ নভেম্বর ঠিক তাই হল। দেশের অন্যান্য বিরোধী দলও সরব হয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের মিছিল এসে হাজির হয় রাজধানীর দরজায়। আগামী বছরের শুরুতেই রয়েছে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, বছরের শেষে এসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।