চেন্নাই: তামিলনাড়ুর কুন্নুরের কাছে ভারতীয় বায়ুসেনার চপার দুর্ঘটনার পর দেহ শনাক্ত করাই মূল লক্ষ্য হয়ে উঠেছিল সেনাদের কাছে। ভারতীয় সেনা সূত্রে শনিবার বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, নিহত পাঁচ সেনাকর্মীর মরদেহ শনাক্ত করার পর সংশ্লিষ্ট শহরে, পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের দেহ। যে পাঁচ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার পিএস চৌহান, জেডব্লিউও রাণাপ্রতাপ দাস, জেডব্লিউও প্রদীপ, ল্যান্স নায়েক বি সাই তেজা ও ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার।


এই ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি ল্যান্স নায়েক বি সাই তেজার পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। দুর্ঘটনায় মৃত সিডিএস বিপিন রাওয়াতের পিএসও হিসেবে কর্মরত ছিলেন ল্যান্সনায়েক তেজা। এর আগে টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু তেজার পরিবারকে ১ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। 



সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসারদের মধ্যে একজন ছিলেন সাই তেজা। বুধবার হেলিকপ্টার বিস্ফোরণের সময় সেই চপারে তিনিও ছিলেন। সকলের মৃত্যুর খবর আসতেই ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। সাই তেজার পরিবারে রয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং ৫ ও ২ বছরের দুই সন্তান। শনিবার, সরকার ডিএনএ পরীক্ষার সাহায্যে সাই তেজা এবং তার সহকর্মী বিবেক কুমারের মৃতদেহ শনাক্ত করেছে। 


কুন্নুরের নীলগিরিতে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ১৩ সেনাকর্মীর দেহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সেনার তরফে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত যাঁদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাঁদের মরদেহ দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের আর্মি বেস হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের আবেগের কথা মাথায় রেখে সেনা ও বায়ুসেনার তরফে দ্রুত শনাক্ত করতে মেডিক্যাল সায়েন্সের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। ডিএনএ টেস্ট করে পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে, তবেই পরিবারের হাতে দেহাবশেষ তুলে দেওয়া হবে।