রায়পুর: সম্প্রতি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। এই ইস্যুতে এবার মমতাকে পাল্টা আক্রমণ করলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। ‘এবিপি শিখর সম্মেলন ছত্তীসগঢ়’-এ তৃণমূল সুপ্রিমো সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফায়ারব্র্যান্ড লেডি। কিন্তু তিনি এখন সেন্ট্রাল এজেন্সিগুলির আওতায় চলে এসেছেন। তাঁর অনেক স্বপ্ন। তাঁকে ঠিক করতে হবে, কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করে এগিয়ে যাবেন না বিজেপি-র সঙ্গে লড়াই করে নিজের উচ্চতা বাড়াবেন। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলে গিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি-কে আক্রমণ করে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘জেপি নাড্ডা সম্পর্কে শুধু এটুকুই জানি, তিনি বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জুমলাবাজ। এখন তাঁর দল সম্পর্কে মানুষ বলতে শুরু করেছে, কোনও কোনও ইস্যু জুমলা ছিল। তাহলে আমাকে কেন জুমলাবাজ বলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে?’
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আক্রমণ করে ভূপেশ বাঘেল বলেছেন, ‘যোগী আদিত্যনাথ সেই মঠের প্রধান, যে মঠ গরিব ও বঞ্চিতদের আপন করে নেয়। সেই মঠে থাকার পরেও তিনি ঘৃণার কথা বলছেন। উত্তরপ্রদেশে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে একদিকে সমাজবাদী পার্টি, অন্যদিকে বিজেপি ও কংগ্রেস আছে। বহুজন সমাজ পার্টি লড়াইয়েই নেই। সাধারণ মানুষ যোগী সরকারকে মাটিতে আছড়ে ফেলতে তৈরি। জনতা কংগ্রেসকে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আনবে। কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেটা পরে ঠিক হবে।’
উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর ভূমিকা প্রসঙ্গে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রিয়ঙ্কা গাঁধী কৃষক, যুব সমাজের কথা বলছেন। তিনি মহিলাদের সমস্যাগুলিও তুলে ধরছেন। সর্বত্র ছত্তীসগঢ় মডেল নিয়ে আলোচনা চলছে।’
ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, তিনি মানুষের সেবা করার জন্যই এসেছেন। ভারতমাতার সেবা করছেন। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে কাজ করছেন, তাঁর সেবা করছেন না। তিনি দলের হয়ে যে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন সেটাই করছেন।