বিশাখাপত্তনম: মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলির যুদ্ধ। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, মাম্পা পুলিশ থানার অন্তর্গত থিগালামেত্তা জঙ্গলে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ মাওবাদী দমন বাহিনী গ্রেহাউন্ড ও মাওবাদীদের মধ্যে তীব্র লড়াই বেঁধেছে। 


শেষ খবর মেলা পর্যন্ত, ৬ মাওবাদী নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন মহিলা মাওবাদীও রয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। এই তালিকায় রয়েছে একটি একে রাইফেল, একটি এসএলআর, একটি কারবাইন, তিনটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল এবং একটি তপনচা।  গোটা এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। 


এদিকে, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশাতেও মাওবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্য়মে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মনকলগিরি জেলায় মৈথিলি থানার অন্তর্গত কুলবেড়া জঙ্গলে মাওবাদী ও বাহিনীর গুলির লড়াইয়ের খবর মিলেছে। 


জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালায় ওড়িশা পুলিশের স্পেশাল অপারেশনস গ্রুপ (এসওজি) ও ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টারি ফোর্স (ডিভিএফ) কে নিয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী। 


বাহিনীর উপস্থিতি টের পেতেই জঙ্গলের মধ্যে থেকে বাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছোড়ে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। 


শেষ খবর মেলা পর্যন্ত এখনও সেখানে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। 


অন্যদিকে, তেলঙ্গনায় মঙ্গলবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে ১৯ মাওবাদী। ভদ্রদ্রি কথাগুড়েম এলাকার পুলিশ সুপার সুনীল দত্ত জানান, গতকাল রাজ্য পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর সামনে আত্মসমর্পণ করে ওই মাওবাদীরা। এদের মধ্যে তিন মহিলাও রয়েছে। 


পুলিশ জানায়, এই ১৯ জন নিষিদ্ধ সংগঠনের চেরলা এরিয়া কমিটির সদস্য ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তারা সশস্ত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল। 


পুলিশ সুপার জানান, সাম্প্রতিককালে বহু মাওবাদী সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে কেউ কেউ সংক্রমণে মারাও গিয়েছে। তিনি জানান, গতমাসে, কয়েকজন মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়। পরীক্ষা  করে দেখা যায়, ,সকলেই কোভিড আক্রান্ত। তিনি জানান, মাওবাদীরা জঙ্গলের মধ্যে আত্মগোপন করে থাকে। কোনওপ্রকার চিকিৎসা ও পরিষেবা তারা পায় না। 


এই প্রেক্ষিতে, বাকি মাওবাদীদের আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।