নিউ দিল্লি : দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ভ্যাকসিন সরবরাহে নয়া পদক্ষেপ। শীঘ্রই ড্রোনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন পাঠানো হতে পারে। শুধু তাই নয়, জীবনদায়ী ওষুধও পাঠানো হতে পারে ড্রোন উড়িয়ে। এর ফলে গতি পাবে টিকাকরণ কর্মসূচি। একথা জানালেন কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইম্যুনাইজেশন এর প্রধান এন কে আরোরা।


এই পরিস্থিতিতে ড্রোন ওড়ানো নিয়ে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ শিথিল করছে ভারত। বিভিন্ন জায়গায় যাতে ভ্যাকসিন ও জীবনদায়ী ওষুধ পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, ড্রোন ব্যবহার করে ভ্যাকিসনের সরবরাহের বিষয়ে কানপুর আই আই টি-র সঙ্গে যৌথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। 


সূত্রের খবর, এনিয়ে তাদের গবেষণার নথি ইতিমধ্যেই জমা করেছে আই আই টি কানপুর। এন কে আরোরা জানিয়েছেন, গত বছর থেকে এনিয়ে প্রস্তুতি চলছে। ২০২০-র দ্বিতীয় অর্ধ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। কীভাবে প্রত্যন্ত এলাকায়(তা সে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা হোক, উত্তর-পূর্ব বা পাহাড়ি এলাকা) তা পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়। এইসব জায়গায় ভ্যাকসিন নিয়ে যেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তাছাড়া সেখানে খুব সংখ্যক মানুষ বসবাস করায় ভ্যাকসিনের সংখ্যাও কম থাকে।


তিনি আরও বলেন, বিষয়টির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য বিভিন্ন আই আই টি-র সঙ্গে যৌথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। আমি খুশি যে, তার ফল পাওয়া গিয়েছে। যেখানে পৌঁছানো কষ্ট, সেইসব এলাকায় এবার আমরা পৌঁছে যাব। ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার করা হবে। এছাড়া দেখা গিয়েছে, জীবনদায়ী ওষুধও খুব অল্প সময়ে পৌঁছে দেওয়া যাবে।


প্রসঙ্গত, ভারতে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড দেওয়া হচ্ছে। এই তালিকায় নবতম সংযোজন রাশিয়ার স্পুটনিক ভি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু, ভ্যাকসিনের ঘাটতি থাকায় বিভিন্ন জায়গায় টিকাকরণ প্রক্রিয়া থমকে আছে। যদিও এই সংকট কাটানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।