ওড়িশা: আশা ছিল বিয়েতে কবজি ডুবিয়ে খাসির মাংস খাবে বরযাত্রী। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। বরযাত্রীর পাতেই পড়ল না খাসির মাংস। রাগে বিয়ে ভেঙে সটান বেরিয়ে গেলেন বর। শেষ নয় এখানেই, কন্যাপক্ষকে 'উচিৎ শিক্ষা' দিতে বাড়ি ফেরার সময় অন্য একটি মেয়েকে বিয়েও করে নেন পাত্র। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার সুকিন্দা এলাকায়। 


ওড়িশার কেওনঝড়ের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম রমাকান্ত পাত্র। জানা গিয়েছে, ২৭ বছরের ওই যুবক বুধবার সুকিন্দা ব্লকের বাঁধাগাঁও গ্রামে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। সময় মতো বিয়ে করতে পৌঁছেও যান। বিয়ের নিয়মকানুন শুরু হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই সমস্যা বাঁধে। 


খেতে বসে বরযাত্রীর পাতে খাসির মাংস না পড়ায় বেজায় চটে যান বরের বাড়ির লোকেরা। শুরু হয় কথা কাটাকাটি। বিয়ের মন্ডপ থেকে উঠে আসে হবু বর। বরযাত্রীদের খাসির মাংস খাওয়ানো হচ্ছে না জানতে পেরেই বেজায় চটে যান পাত্র রমাকান্তও। বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনিও। এরপরই রাগ এতটাই চরমে পৌঁছে যায় যে বিয়ে করতে বেঁকে বসেন পাত্র। 


জানা গিয়েছে, দ্রুত খেতে বসে পড়ায় তখনও খাসির মাত্র রেঁধে উঠতে পারেননি মেয়ের বাড়ির রাঁধুনি। সে কথা হবু বরের বাড়ির লোকজনকে বোঝানোর অনেক চেষ্টাও করা হয়। । তবে সে সব শুনতে মোটেই রাজি ছিলেন না পাত্রের বাড়ির লোকজন। ক্রমেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে।


এর পরই বিয়ে বন্ধ করে বরযাত্রীদের নিয়ে হবু কনের বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন রমাকান্ত। এক আত্মীয়ের বাড়িতেই বাকি সময়টা কাটান তাঁরা। এরপর কেওনঝড়ে ফেরার আগে টামকার ফুলঝাড়ার একটি মেয়েকে বিয়ে করে নেন ওই যুবক। পরদিন নতুন বউ নিয়ে বাড়ি ফিরেন রমাকান্ত। 


ভয়ঙ্কর 'ভুল' করে ফেলেছিল কনের পরিবার! আর তাই রাগে অপমানে বিয়ে ভেঙে তৎক্ষণাৎ অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে ফিরে আসেন পাত্র রমাকান্ত। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়েরের খবর মেলেনি।