নয়াদিল্লি: “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে কথা হয়েছে। এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উনি দেখছেন।’’ জানিয়ে দিলেন  নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও। এদিন রিও বলেন, “সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। গুলিকাণ্ডে নাগাল্যান্ডে আফস্পা প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এই আইন দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।‘’


আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করল নাগাল্যান্ড পুলিশ (Nagaland)। এফআইআরে উল্লেখ, স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়ে, তাদের সাহায্য না চেয়েই অভিযান চালানো হয়। সাধারণ নাগরিকদের খুন ও আহত করাই ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্দেশ্য। অসম রাইফেলসের বিরুদ্ধে অভিযোগে উল্লেখ নাগাল্যান্ড পুলিশের। এদিকে, মন জেলায় জারি হয়েছে কার্ফু। এদিন নিহত গ্রামবাসীদের শেষকৃত্যে যোগ দেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিয়ু। অন্যদিকে, নাগাল্যান্ড-গুলিকাণ্ডের জেরে আফস্পা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি তোলার পর একই দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল। 


জঙ্গি সন্দেহে নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর গুলিবৃষ্টি। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ১৪ জন গ্রামবাসী। মৃত্যু হল এক জওয়ানেরও। দুঃখ প্রকাশ অসম রাইফেলস কর্তৃপক্ষের। নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিংয়ের টিরু গ্রাম একেবারে মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা। ওই এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশের সমস্যা নতুন নয়। কিন্তু অনুপ্রবেশকারী রুখতে গিয়েই শনিবার রাতে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা।


স্থানীয় সূত্রের দাবি, কয়লা খনিতে কাজ সেরে গ্রামে ফিরছিলেন কয়েক জন। জঙ্গি সন্দেহে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালান অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ১৪ জনের শরীর। তারপরই উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। অসম রাইফেলসের কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। মৃত্যু হয় এক জওয়ানের। ঘটনার জেরে রবিবার দিনভর অশান্তি চলে নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায়। নিরীহ গ্রামবাসীদের প্রাণহানির প্রতিবাদে রাস্তায় নামে উত্তেজিত জনতা। মন জেলায় অসম রাইফেলসের ক্যাম্পে হামলার অভিযোগ ওঠে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অশান্তি যাতে না ছাড়ায় সে জন্য মন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে নাগাল্যান্ড প্রশাসন। SIT গঠন করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও।


আরও পড়ুন: Asia Powerful Country List: এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে ভারত