ইটানগর: পাহাড়ের রুক্ষ, ধূসর শরীরে সবুজের (Greenery) ঘন ছোপ। দূর থেকে দেখে মনে হবে শ্য়াওলা, কাছে গেলে বোঝা যাবে আসলে 'পাহাড়িয়া গাছ'। ধূসর ও সবুজের দুরন্ত যুগলবন্দির মাঝেই সাপের শরীরের মতো নেমে এসেছে সাদা জলের ধারা। কাছে এগোন, ধীরে ধীরে সেই সাদা রঙে চোখ জুরিয়ে যাবে। বিশাল পাহাড়ের মধ্যে আপনাকে দুহাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাবে ইয়ামেঙ্গ জলপ্রপাত (Yameng Waterfall)। অরুণাচল প্রদেশের (arunachal pradesh) নতুন আকর্ষণ। স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) প্রেমা খান্ডু (prema khandu) এর 'প্রচার' করেছেন!


স্বর্গসুন্দর অরুণাচল...
গত কাল নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই 'ইয়ামেঙ্গ জলপ্রপাত'-র একটি দস্তুরমতো আকর্ষণীয় ভিডিও পোস্ট করেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ক্যাপশন, 'ইয়ামেঙ্গ জলপ্রপাত এককথায় অসাধারণ, চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। তাওয়াং থেকে মাগো যাওয়ার পথে এই অনন্যসুন্দর জায়গাটি দেখে যেতে পারেন আপনারা। ...প্রকৃতি কতটা উদার তা বুঝতে নিশ্চয়ই এখানে আসুন।' ভিডিওটির শুরুতেই যে রকম ঘন সবুজের হাতছানি, তাতে চোখ আটকে যাবে। মাঝেমধ্য়ে পাহাড়ের ধূসর চেহারা বেরিয়ে পড়ছে। কিন্তু সে যেন প্রকৃতির কালার প্যালেটের সঙ্গে একেবারে মানানসই। আর তার উপরে জলপ্রপাতের একাধিক ধারা। সুলুঙ্গুটি পর্বতে ঘেরা এই  'ইয়ামেঙ্গ জলপ্রপাত' স্থানীয়দের অনেকের কাছে বিশ্বাসের বড় জায়গাও বটে। বিশ্বাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সাজানো এই এলাকা সব মিলিয়ে পর্যটনের দুরন্ত জায়গা, মনে করছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। মুখ্যমন্ত্রী ভিডিওটির সঙ্গে #DekhoApnaPradesh হ্যাশট্যাগটিও সম্ভবত সে কারণেই জুড়ে দিয়েছেন।



পর্যটনে জোয়ার আনতে...
গত বছর থেকে 'দেখো অপনা প্রদেশ' প্রকল্প চালু করেছে অরুণাচল প্রদেশ। রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেই এই উদ্য়োগ। কোভিড-১৯ অতিমারীর জেরে লকডাউন ও তার পর যা কড়াকড়ি হয়েছিল, সব কিছুর ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পর্যটনের। ঘুরে দাঁড়াতে নানা ভাবে রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটনক্ষেত্রগুলি নিয়ে প্রচার চালাতে চায় সরকার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও মাঝেমধ্যেই এমন একাধিক জায়গার ভিডিও দেন। হালে তাওয়াংয়ের বেঘর গ্রামের একটি ভিডিও-ও পোস্ট করেছিলেন তিনি। মুহূর্তে ভাইরাল হয় সেটি। এবারও কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। বস্তুত, উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু অংশই স্বর্গসুন্দর, অথচ এখনও অজানা। তবে পর্যটকদের সামনে তাদের তুলে ধরতে নানা রকম উদ্যোগ শুরু হয়েছে।


আরও পড়ুন:বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষ মনের সমস্যার শিকার, ল্যান্সেটের রিপোর্ট উদ্বেগজনক তথ্য