গুয়াহাটি : অসমে (Assam) ঝড়-বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪। গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া চলছে এই রাজ্যে। পাশাপাশি বজ্রপাত। এর জেরে আরও ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪। রবিবারের আবহাওয়া বুলেটিন সূত্রে এমনই খবর।


অসময় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি-


তীব্র ঝড়ের (Storm) পাশাপাশি নাগাড়ে বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাত। অসমে এই সময়ে এই মরসুমি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বরদৈশিলা নামে পরিচিত। আর এর জেরে এবার রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু বাড়ি-ঘরের ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছ ও বিদ্যুতের খঁটি। 


ঝড়-বৃষ্টির জেরে শুক্রবার তিনসুকিয়া জেলায় তিন জনের, বকসায় দুই জনের এবং ডিব্রুগড়ের এক জনের প্রাণহানি হয়েছে। অসম রাজ্য বিপর্যক মোকাবিলা দফতরের বুলেটিন অনুয়ায়ী, শনিবার রাতে ঝড়-বৃষ্টিতে দুই নাবালক-সহ আরও আট জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও পড়ুন ; তীব্র গরমে স্বস্তির-আশা, বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়


বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে চলা ঝড়ে ১২ হাজারের বেশি বাড়ি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, বায়ু ও বৃষ্টির দেবীকে এখানে বরদৈশিলা বলা হয়। অহমিয়া নতুন বছর শুরু হয় ১৫ এপ্রিল। এই সময়কালে তীব্র ঝড়ে সঙ্গে বৃষ্টি হয়।


অসম রাজ্য বিপর্যক মোকাবিলা দফতরের বুলেটিন অনুয়ায়ী, ৫ হাজার ৮০৯টি কাঁচাবাড়ি, ৬৫৫টি পাকা বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৮৫৩টি কাঁচা বাড়ি ও ২৭টি পাকা বাড়ির সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে ১২ জেলায় ৩৪টি বাড়ি-ঘরের ক্ষতি হয়েছে।


উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাড়ি ঘর ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। বইখাতা ভিজে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। প্রশাসনের তরফে সাহায্য না মেলার অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে দেওয়া হয় দ্রুত সাহায্যের আশ্বাস। কোচবিহারে নাগাড়ে বৃষ্টি পাট চাষে ব্যাপক ক্ষতি।