গুয়াহাটি: ভয়াবহ ছবি অসমের (Assam)। ক্রমশ জটিল হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। অসমের একের পর এক জেলা বন্যার কবলে। রাজ্যের ৩১টি জেলা মিলিয়ে সাত লক্ষের বেশি নাগরিক বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানিয়েছে অসম সরকার। কাছাড়, হোজাই, দারাং. মোরিগাঁও, নওগাঁ, করিমগঞ্জের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল বলে অসম প্রশাসন সূত্রে খবর। এগুলির মধ্যে নওগাঁ  ও কাছাড় জেলা নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। বন্যা ও ধসের কারণে অসমে এখনও পর্যন্ত ১৮ জন মারা গিয়েছেন। 


ক্ষয়ক্ষতি:
প্রশাসন সূত্রে খবর, নব্বই হাজার হেক্টরেরও বেশি পরিমাণ জমির ফসল এখন জলের তলায় রয়েছে। হাজার দুয়েকের বেশি বাড়ি এখনও জলের তলায়।  বিপুল পরিমাণ এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় তিনশোটি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। সেখানে রাখা হয়েছে তাঁদের। জমি-ফসল ছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিপুল সংখ্যক গবাদি পশুরও। ভারতীয় সেনা (Indian Army), রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর (State Disaster Response Force), এনডিআরএফ একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত অন্তত ২৫ হাজার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। টানা অনেকদিন ধরে বৃষ্টির কারণেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে। উপচে পড়েছে ব্রক্ষ্মপুত্র নদ ও অসমের অন্যান্য নদী।


বিপদসীমার উপরে ব্রক্ষ্মপুত্র:
অসমের জীবনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ব্রক্ষ্মপুত্র (Brahmaputra) নদ। এখন সেই নদ বিপদসীমার উপরে বইছে। জোরহাটের (Jorhat) কাছেও নদী বিপদসীমার উপরে। 


বিপদ বাড়াচ্ছে ধস:
বন্যা এবং বৃষ্টির সঙ্গেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ধস। নিউ কুনজুং, ফিয়াংপুই, মউলহই, মহাদেব টিলা, নর্ত বাগেটার--এরকম একাধিক এলাকায় ধস শুরু হয়েছে। ধসের (Landslide) কারণে একাধিক এলাকায় রেল লাইন ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে বেশ কিছু লোকালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর। 


পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায়, উদ্ধারকাজে পাঠানো হয়েছে চিনুক ভারী হেলিকপ্টারও (Chinook heavy-lift helicopters)। এনডিআরএফ-কে সাহায্য করতে পাঠানো হয়েছে কপ্টারটি।   


আরও পড়ুন: 'জনগণ সবসময়ই সবার আগে' পেট্রোপণ্যের মূল্য হ্রাসের পর ট্যুইট মোদির