গুয়াহাটি :  বন্যা বিধ্বস্ত অসম। ক্রমেই বাড়ছে সঙ্কট।  জলের তলায়  চলে গিয়েছে ৩৪টি জেলা। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। উত্তরপূর্বের রাজ্য এখন প্রবল দুর্যোগের মুখোমুখি। 


অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) অনুসারে, শহরের বেশ কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল তবে কিছু এলাকায় তা ঠিক করা হয়েছে।  আসাম পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিডিসিএল) এর  মেরামতি কর্মীরা গুয়াহাটি থেকে শিলচরে পৌঁছাবেন।


মৃতের সংখ্যা ১০০ পার করেছে বলে খবর। জলের গ্রাসে বহু বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার আকাশপথে বন্যা কবলিত শিলচরের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।  তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়, কাছাড়ের পুলিশ সুপার ও রাজ্য সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা। বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।


অন্যদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিলচরে দুর্গতদের কাছে হেলিকপ্টারে পৌঁছে দেওয়া হয় খাবার, পানীয় জলের বোতল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। বন্যায় ক্ষতি হয়েছে অসমের নগাঁও জেলার একাধিক অঞ্চলও। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। বুধবার জেলার তেমনই এক ত্রাণ শিবির  ফুলাগুড়ি হাইস্কুল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনিও। 


অন্যদিকে, অসমে বন্যার হাহাকারের মধ্যেই গুয়াহাটির হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছেন মহারাষ্ট্রের বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। বিরোধীদের প্রশ্ন, বন্যার সঙ্কটের মধ্যে মহারাষ্ট্রের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে কেন এত ব্যস্ত অসমের বিজেপি সরকার? এই ইস্যুতে গুয়াহাটির হোটেলের সামনে গতকাল বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল এবং কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ বলেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বাইরে থেকে লোক অসমের হোটেলে এলে রেভিনিউ বাড়বে, সেই টাকায় বন্যা বিধ্বস্তক মানুষকে হেল্প করবেন, মজা হচ্ছে? সরকারের এত খারাপ দিন চলে এল যে হোটেলের রুম ভাড়া নিয়ে লোককে বাঁচাবেন? 
আরব সাগরের তীর থেকে মহারাষ্ট্র সরকারের ভরকেন্দ্র যেন সরে এসেছে ব্রহ্মপুত্রের তীরে।