পুরী : বিশ্বখ্যাত জগন্নাথ রথযাত্রা (Jagannath Rathyatra) উপলক্ষে আবারও সেজে উঠছে ওড়িশা (Odisha)। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে পুরীতে অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রা। এই সময়ে ভগবান জগন্নাথ তাঁর ভাই বলভদ্র ও বোন সুভদ্রার সাথে তিনটি রথে চড়েন।
তিনটি রথই আলাদা এবং বহু ভক্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে এই রথ টানায় সামিল হন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, মহাপ্রভু জগন্নাথ রানি গুণ্ডিচা মন্দিরে সাত দিন অবস্থান করেন। রথযাত্রার কথা মাথায় রেখে ফি বছর, হাজার হাজার ভক্ত এবং পর্যটক জুলাই মাসে ওড়িশা ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। এই বছরও ভগবান জগন্নাথের বিশাল রথযাত্রা ১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
জগন্নাথ-কথা-
রথযাত্রার যে প্রথা সকলকে মুগ্ধ করে তা হল, ঈশ্বর এই সময়ে ১৪ দিন নির্জনে থাকেন। আসলে এই সময় সব মন্দির বন্ধ থাকে। কথিত আছে, জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা উপলক্ষে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে ১০৮ পাত্র জল দিয়ে স্নান করানো হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় সহস্ত্রধারা স্নান। কিন্তু পরে এই স্নানের কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ভেষজ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তাই এই নির্জনতার আচার। ১৫ তম দিনে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা দর্শন দেন।
আরও পড়ুন ; ৭৫২ টি উনুন, ৩০০-রও বেশি রাঁধুনি! পুরীর ছাপান্ন ভোগের কাহিনী অবাক করবে আপনাকেও
এই বছর আষাঢ় শুক্ল দ্বিতীয়া তিথি ৩০ জুন সকাল ১০টা ৪৯ মিনিটে শুরু হয়ে ১ জুলাই দুপুর ১টা ৯মিনিটে শেষ হবে। জগন্নাথ যাত্রা শুরু হবে আগামী ১ জুলাই শুক্রবার। ঐতিহ্য অনুসারে, ভগবান জগন্নাথ শ্রীহরি হলেন ভগবান বিষ্ণুর অন্যতম প্রধান অবতার। জগন্নাথের রথের নির্মাণ ও নকশা অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হয়। বসন্ত পঞ্চমী থেকে শুরু হয় কাঠ সংগ্রহের কাজ। রথের জন্য কাঠ বিশেষ বন দশপল্লা থেকে সংগ্রহ করা হয়।
ভগবানের জন্য এই রথগুলি শুধুমাত্র শ্রীমন্দিরের ছুতোর তৈরি করেন। বলা হয়, ভোই সেবাইত। যেহেতু প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানের পুনরাবৃত্তি হয়, তাই নাম রথযাত্রা। এদিকে এই উপলক্ষে, পুরীর বিভিন্ন হোটেল রুম কার্যত বুক হয়ে গেছে বলে শোনা গেছে। অনেকটা অতিমারীর আগের সময়ের মতো।