গুয়াহাটি: বর্ষার আগেই প্রবল বর্ষণে অসমের ৬ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি (Assam Floods)। ডিমা হাসাও জেলায় ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা-সহ তিনজনের। ডিমা হাসাওয়ের হাফলং এলাকায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রাস্তা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অসমের কাছাড়, ধেমাজি, হোজাই, কার্বি আলং পশ্চিম, নওগাঁ ও কামরূপ মেট্রো এলাকায় ৯৪টি গ্রাম প্লাবিত। দুর্যোগের কবলে ২৪ হাজার ৬৮১ জন (Assam Flash Floods)।


ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত অসম


গত কয়েক দিন ধরেই লাগাতার ভারী বর্ষণ চলছে অসম-সহ মেঘালয় এবং অরুণাচলপ্রদেশে। তার জেরে একাধিক নদীর জলস্তরও বিপজ্জনক ভাবে বাড়তে শুরু করে। কপিলি নদীর জলস্তর এখনও বিপদসীমার ঊর্ধ্বে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 



অসময় বিপর্যয় বোকাবিলা বিভাগ প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৪ মে পর্য কাছার, ধীমাজি, হোজাই, কার্বি অ্যাংলং ওয়েস্ট, নগাঁও এবং কামপূর (মেট্রো)—এই ছয় জেলার ৯৬টি গ্রামের ২৪ হাজার ৬৮১ জন বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার জলে ১ হাজার ৭৩২ হেক্টরের বেশি চাষের জমি ডুবে গিয়েছে। শুধুমাত্র কাছার জেলাতেই ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 


আরও পড়ুন: Weather: নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগে, ২৭ মে কেরলে ঢুকছে বর্ষা। Bangla News


এই মুহূর্তে অসমে উদ্ধারকাজে মোতায়েন সেনা, আধা সেনা, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল এবং জরুরি পরিষেবা বিভাগ। বন্যা কবলিত এলাকাগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ১৫০ জন মানুষকে উদ্ধার করা গিয়েছে। 



আপাতত বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই


স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লখিমপুর, হোজাই, নগাঁও জেলায় একাধিক সড়ক, সেতু, সেচের খাল জলের নীচে চলে গিয়েছে। তবে এখনই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় নেই। কারণ আবহাওয়া দফতর ১৮ মে পর্যন্ত সেখানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।