আগরতলা: একদিন আগেই পদত্যাগ করেছেন বিপ্লবকুমার দেব (Biplab Deb)। রাত পোহাতেই ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হলেন মানিক সাহা (Manik Saha)। রবিবার দুপুরে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেন তিনি। তবে তাঁর শপথগ্রহণে অনুপস্থিত ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মন (Jishnu Deb Barman)। মানিক শপথ নেওয়ার পর যদিও সৌজন্য দেখাতে রাজভবনে যান তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণে তাঁর ডেপুটির গরহাজিরা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, মানিককে মুখ্যমন্ত্রী করায় দলের অন্দরে ক্ষোভ রয়েছে। তারই ফলশ্রুতি ঘটেছে। 


মানিককে নিয়ে অসন্তোষ ত্রিপুরা বিজেপি-তে


শুধু জিষ্ণু দেব নন, এ দিন মানিকের শপথগ্রহণে গরহাজির ছিলেন অন্য বিক্ষুব্ধ বিধায়ক তথা রাজ্যের অপর মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান আগেই বয়কট করেন বিক্ষুব্ধরা। বামেরাও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করে। রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের রাজনীতি চালানোর অভিযোগে অনুষ্ঠানে যোগ দেননি বাম প্রতিনিধিরা।


বিধানসভার ভোটের কয়েক মাস আগে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী বদল করল বিজেপি। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন বিপ্লব দেব। তার পরই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি মানিকের নাম ঘোষিত হয়। তবে দলনেতা নির্বাচন ঘিরে বিজেপি-র বৈঠকেও গন্ডগোল হয়। কোনও রাখঢাক না করেই মানিকের নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন রামপ্রসাদ। প্রথমে বচসা এবং পরে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন ত্রিপুরার মন্ত্রী এবং কয়েকজন বিধায়ক।


আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharjee: জনবিরোধী ও দমনপীড়নের সরকারকে প্রতিহত করতে পারে বামপন্থীরাই, বার্তা বুদ্ধদেবের । Bangla News


মেয়াদ শেষের ১০ মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে আমচকাই সরে দাঁড়ালেন বিপ্লব। তার আগে বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন। পরের দিন কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। তার পর ফিরে এসেই ইস্তফা দেন। তাই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।


আচমকা পদত্যাগ বিপ্লবের


মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৫০ মাসের ইনিংসে বহুবার বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিপ্লব, যেমন—মহাভারতের সময়েই ভারতে ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল, শ্রীলঙ্কা, নেপালেও সরকার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে অমিত শাহের, গরু কিনে দুধের ব্যবসায় ১০ লক্ষ টাকা আয়ের পরামর্শ-সহ আরও অনেক। কারও মতামতকে গ্রাহ্য না করার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।